উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বিজেপি-র প্রতীক পদ্মফুল। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক জোড়াফুল। যুযুধান দুই দলের প্রতীক ফুল। দুই ফুলের লড়াইয়ে এবার লোকসভার ভোট জমজমাট। তাই ফুল নিয়ে যাতে কোনও বিতর্ক না বাধে, সেজন্য আগেভাগে সতর্ক করে দেন পুলিস পর্যবেক্ষক। বিভিন্ন স্কুল, আইসিডিএস কেন্দ্রে ফুল, ফলের ছবি থাকে। কচিকাঁচাদের পরিচিতির জন্য প্রাইমারি স্কুল কিংবা আইসিডিএস সেন্টারে ফুল, ফল, বিভিন্নরকম পশুপাখির ছবি থাকে। কিন্তু, ভোটের প্রতীকের সঙ্গে মিলে যাবে, এরকম কোনও ছবি যেন দেওয়ালে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে বলে মিজোরাম ক্যাডারের আইপিএস দেবেশকুমার মাহলা জানিয়ে দেন।
এদিন বর্ধমান পুরসভার ২৩ ও ২৪নম্বর ওয়ার্ডে রথতলা ও কাঞ্চননগর এলাকায় গিয়ে কোনও দাগী দুষ্কৃতী রয়েছে কি না খোঁজখবর নেন পুলিস পর্যবেক্ষক। বর্ধমান থানার আইসি তুষারকান্তি কর সহ থানার অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। দু’টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে বুথ লেভেল অফিসারের নম্বর মিলিয়ে দেখেন। বিএলওদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলেন পুলিস পর্যবেক্ষক। কাঞ্চননগর এলাকায় বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। কচিকাঁচাদের সঙ্গে হাতে হাত মেলান। পথ চলতি মানুষজনকে দাঁড় করিয়ে এলাকার পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকদের কাছ থেকেও এলাকার আইনশৃঙ্খলা জানার চেষ্টা করেন।
কিছুদিন আগে রথতলা এলাকায় বিজেপি-র একটি সভা উপলক্ষে লোকজন জড়ো হওয়ার পর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজনকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবাদে বর্ধমান থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি টায়ার জ্বালিয়ে কার্জনগেট চত্বরে অবরোধ করেছিল বিজেপি। শেষমেশ পুলিস সুপারের হস্তক্ষেপে আটক কর্মীদের উদ্ধার করে তারা। ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিস পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জানানোর পর এদিন তল্লাট ঘুরে দেখেন পুলিস পর্যবেক্ষক।
তবে, ফুল নিয়ে যাতে কোনও বিতর্ক না হয় সেজন্য কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তথা স্কুলের দেওয়ালে ফুলের ছবি থাকলে আপাতত মুছে ফেলার নির্দেশ দেন পুলিস পর্যবেক্ষক। তবে, ফলের ছবি থাকলে কোনও আপত্তি নেই বলে জানান তিনি। কাঞ্চননগর ডিএন দাস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, আমাদের স্কুলের দেওয়ালে গাছগাছালির ছবি আছে। তবে, কোনও ফুলের ছবি নেই।