বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর থেকেই বুনিয়াদপুর শহরে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য এই কার্নিভালের আয়োজন করে শহরবাসীকে আনন্দ দেওয়া হচ্ছে। তবে গতবার তেমন প্রভাব না পড়লেও, এবারে শহরের বুকে টাঙন নদীর ধারে বিজয়া কার্নিভাল জমে উঠেছে। শহরের বাসিন্দারা তো বটেই, সেইসঙ্গে শহর সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকেও মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ওই কার্নিভালে।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন বলেন, গত বছর থেকে শহরের স্টেডিয়াম মাঠের টাঙন নদীর ধারে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারে আমরা জাঁকজমক করে কার্নিভালের আয়োজন করেছি। বিদ্যুৎ দপ্তর, দমকল বিভাগ, মহকুমা পুলিস প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সহযোগিতা নিয়েই এই আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কার্নিভাল উপলক্ষ্যে দশমীর দিন থেকে শুরু হয়েছে মেলা। তিন দিনের জন্য নদীর ধারেই মেলা বসেছে। শহরবাসী দেবীর বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে দেখে, মেলায় কেনাকাটা করে কার্নিভাল উপভোগ করে বাড়ি ফিরছেন। পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমা নদীর নির্দিষ্ট ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পর পুরসভার কর্মীরাই বিসর্জনের ব্যবস্থা করছেন। প্রতিদিন নদীতে বিসর্জন হওয়া কাঠামো পরিষ্কার করে ফেলা হচ্ছে। আগে শহরে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার ফলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নদী দূষণ হতো। সেসব রুখতেই পুরসভা এই উদ্যোগ নিয়েছে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপকুমার দাস বলেন, আমাদের তরফে কার্নিভালে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিস কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। বুনিয়াদপুর কার্নিভালে আমি নিজে উপস্থিত থেকে সমস্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। শান্তিপূর্ণভাবে কার্নিভাল পরিচালনা করা হচ্ছে।
এধরণের ব্যবস্থাপনায় খুশি পুজো উদ্যোক্তারাও। উত্তরপাড়া সর্বজনীন মহিলা পুজো কমিটির সদস্যা লিপিকা পাল ভৌমিক বলেন, পুরসভার তরফে এধরণের আয়োজন করায় আমাদের খুব সুবিধা হচ্ছে।
বুনিয়াদপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর রাত থেকে স্টেডিয়াম এলাকার কার্নিভালে প্রায় ১৫ টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে শহরের সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পুজো উদ্যোক্তারা কার্নিভালে এসে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার পর পুরসভার কর্মীরা প্রতিমা নদীতে বিসর্জন করে দিচ্ছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নদীতে দুটি নৌকা থাকছে। এছাড়াও ডুবুরি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা নদীর ঘাটে থাকছেন। প্রতিমা নিয়ে এসে পুজো উদ্যোক্তাদের আনন্দ করার জন্য জায়গা করে দিয়েছে পুরসভা। মোতায়েন রয়েছে পুলিস কর্মী। নিরাপত্তায় রয়েছে ড্রোন। এমনকি প্রতিমা বিসর্জনের পর পুজো উদ্যোক্তাদের মিষ্টিমুখও করাচ্ছে পুরসভা। পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।