সংবাদদাতা, বালুরঘাট: এবার বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন শুরু করতে পারেন ট্যাঙ্ক মোড় থেকে। শুরুতেই ট্যাঙ্ক মোড়ে নেতাজি স্মৃতি ক্লাবের পুজো পড়বে। এখানে জাতীয় সড়কের রাস্তার দু’ধারে চন্দননগরের চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা পেরিয়ে মূল মণ্ডপে ঢুকতে হবে। ঢুকতেই ১০০ ফুট উচ্চতা ও ৮০ ফুট চওড়া বিশালাকৃতি বাহুবলী সিনেমার রাজপ্রসাদের আদলে পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করলে নজরকাড়া প্রতিমা চোখে পড়বে। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে নানা কারুকার্যের কাজ। এখান থেকে বেরিয়ে সোজা ৫১২নং জাতীয় সড়ক ধরে হাতের ডান সাইডে পাওয়ার হাউসের নিউটাউনের পুজো মণ্ডপ। থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে পুরো মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপে ঢুকতে সুদীর্ঘ সেতু অতিক্রম করতে হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডির মুখোশ শিল্পীদের হাতের কারুকার্য দিয়ে এই মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। শান্তির বার্তা দিতে মা এখানে অস্ত্রবিহীন। অসুরের হাতেও এখানে অস্ত্র নেই। এখানে মাকে দর্শন করে বেরিয়ে কিছু দূর গিয়ে গৌড়ীয় মঠের সামনে হাতের ডান দিকের গলিতে রয়েছে দুর্গাবাড়ি আকাদেমি। মাটির তৈরি মডেলের মাধ্যমে বাজার তুলে ধরা হয়েছে। পিয়াজ রসুন থেকে আলু, পটল, করলা সমস্ত কিছু এখানে মাটি দিয়ে হুবহু বানানো হয়েছে।
এখানে প্রতিমা দর্শন করে বেরিয়ে সোজা হিলি মোড় হয়ে বাসস্ট্যান্ড পেরিয়ে ডানলোপ মোড় হয়ে হাতের বাঁ দিক ধরে দীপালিনগর যাবার রাস্তা ধরে নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব পার হয়ে ক্ষুদিরাম মার্কেট পার করে সাহেব কাছারি হয়ে বেলতলা পার্কের পাশ দিয়ে হেঁটে সামান্য এগলেই চোখে পড়বে বড় বড় আলোর গেট। কিছু দূর গিয়ে সৃজনী সংঘ। এখানে প্রতিমায় বিশেষ চমক দেব-দেবীর মূর্তিতে ব্যবহৃত সাজ। প্যান্ডেলেও চমক থাকছে। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে সোজা বেলতলা পার্কের রাস্তা ধরে সাহেব কাছারি হয়ে হাতের বাঁ দিক রাস্তা ধরে মণিমালা স্কুল হয়ে কিছুদূর গিয়ে মিলবে কচিকলা আকাদেমি পুজো। পুরো প্যান্ডেল থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। ভিতরে ঢুকতে সুবিশাল প্রতিমা এখানে সাবেকি রূপে ফূটে উঠেছে। পুজো মণ্ডপের ভিতরে প্রজাপতির মধু সংগ্রহ ফুটে উঠবে। এখান থেকে বেরিয়ে কচিকলা অ্যাকাডেমির চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা সকলের নজর কাড়বে। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য নানা মডেল রয়েছে।
এখান থেকে বের হয়ে ডানলপ মোড়ে গিয়ে হাতের বাঁ দিক ধরে সোজা আন্দোলন সেতু হয়ে থানা মোড় হয়ে এবারে চকভৃগুতে যেতে পারেন। ব্রিজ থেকে হাতের ডান দিকের সিঁড়ি দিয়ে নেমেই পড়বে প্রগতি সংঘ। রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। শান্তির বার্তা দিতে দেবীর হাতে অস্ত্রের পরিবর্তে পদ্মফুল রয়েছে। পুরো পুজো মণ্ডপ বাঁশ ও সুপারি খোলা সহ একাধিক পরিবেশ বান্ধব জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। গ্রামেগঞ্জে হারিয়ে যাওয়া গোলাঘর, ভিতরে গ্রামের সংস্কৃতি ৫০০ মাটির ঘণ্টা দিয়ে সিলিং সাজানো হয়েছে। খড়, কুলো, মাদুর, কদম ফুল, পাটের চট দিয়ে পুজোর মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিমা এখানে শান্তির বার্তা দিচ্ছে। এখান থেকে সোজা বেরিয়ে ট্যাঙ্ক মোড়েই পুজো পরিক্রমা শেষ করা যেতে পারে।