বেজিং, ১০ এপ্রিল (পিটিআই): বুকে সংক্রমণ নিয়ে নয়াদিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দলাই লামা। ৮৩ বছর বয়সি ধর্মগুরুর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। এর মধ্যেই দলাই লামার উত্তরাধিকারী নিয়ে সরব হয়েছে চীন। বুধবার বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তিব্বতে বৌদ্ধধর্মের পরবর্তী প্রধানকে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের স্বীকৃতি পেতে হবে। চীনের তরফে দলাই লামার কোনও উত্তরাধিকারীকে বেছে নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং বলেন, ‘পুনর্জন্ম নিয়ম-নীতি মেনেই দলাই লামার উত্তরাধিকারীকে স্বীকৃতি দেবে চীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলাই লামার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে পুনর্জন্ম বিষয়টি তিব্বতের বৌদ্ধধর্মের একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা। এর কিছু নির্দিষ্ট রীতি ও নিয়ম রয়েছে। এই ঐতিহ্যকে সম্মান ও রক্ষা করার জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ধর্মীয় রীতি ও নিয়ম মেনেই ১৪তম দলাই লামাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। চীন সরকারও তা স্বীকৃতি দিয়েছিল। সুতরাং দলাই লামার পুনর্জন্মও নিয়ম-নীতি মেনেই হওয়া উচিত।’
তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামাকে চীন বরাবর বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবেই দেখে এসেছে। বেজিংয়ের দাবি, তিব্বতকে চীন থেকে আলাদা করতে চান দলাই লামা। যদিও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী এই ধর্মগুরুর দাবি, তিনি বরাবর তিব্বতিদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন। ধর্মীর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন চেয়েছেন। ১৯৫৯ সালে চীন সরকারের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া দলাই লামা বরাবর নিজেদের উত্তরাধিকারী নিয়ে চীনের উপর চাপ বজায় রেখেছেন। মাসখানেক আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, প্রয়াণের পর তাঁর উত্তরাধিকারী এক ভারতীয় হতে পারে। চীনের তরফে যদি কোনও উত্তরাধিকারী বেছে নেওয়া হয়, তাঁকে মানুষ মানবে না বলেও জানান তিনি। কিন্তু দলাই লামার এই ভাবনা খারিজ করে বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়, তিব্বতে বৌদ্ধধর্মের পরবর্তী প্রধানকে কমিউনিস্ট সরকারের স্বীকৃতি পেতে হবে।