বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সিপিএম সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে কলকাতায় দলের সাংগঠনিক প্লেনামে গৃহীত সিদ্ধান্তের কী কী বাস্তবায়িত করা এখনও সম্ভব হয়নি, তা নিয়েই তিনদিনব্যাপী এই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছবেন দলের নেতারা। সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দলের সমস্ত রাজ্য শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করে তারা যেন পথে নামেন।
২০০৯ সাল থেকে ঠিক কী কী কারণে সিপিএমের জনভিত্তিতে ধ্বস নেমেছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, ওইসময় থেকে দল সেভাবে নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তিই ঘটাতে পারেনি। বরং বিভিন্ন কারণে দলের অনেক পুরনো সদস্য পার্টি ছেড়ে দিয়েছেন। সদস্যপদের ক্ষেত্রে গুণগত মানোন্নয়নের দিকেও খেয়াল রাখা হয়নি। এই মুহূর্তে আমরা সবদিকেই নজর রাখছি। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১১ সালে কেন পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের রাজত্ব হারাতে হয়েছিল সিপিএম তথা বামফ্রন্টকে, সীতারাম ইয়েচুরির এদিনের বক্তব্যে তা আরও একবার স্পষ্ট হল। এক্ষেত্রে আবার উঠে এল সিপিএমের সেই জনসংযোগে খামতি থাকার তত্ত্বই। তবে সদস্যপদ গ্রহণের ক্ষেত্রে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, আমাদের দলে এসএমএসের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করা হয় না। ওটা অন্য পার্টিতে হয়। আমার কাছে বিজেপির থেকে এসএমএস এসেছে, আম আদমি পার্টি (আপ) থেকে এসএমএস এসেছে। তার মানেই কি আমি ওদের সদস্য হয়ে গেলাম? সিপিএমের সদস্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া আলাদা।
দলের অন্দরের খবর, সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির বয়স ৬০ বছরে সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য কমিটি। অন্যদিকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশেই কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর দলের পক্ষে আর একক ক্ষমতায় যে আসন্ন ভোটগুলিতে ভালো ফল করা সম্ভব হয়, তাও বিলক্ষণ বুঝেছে সিপিএম। সেই কারণে তিনদিনব্যাপী এই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বকলমে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চালানো হবে। ইয়েচুরি বলেছেন, আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছি। দলীয় সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপির কাছ থেকে পাঁচটি আসন চেয়েছে সিপিএম তথা বামেরা।