বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এবার মোটা ধানের সংগ্রহমূল্য একলাফে প্রতি কুইন্টালে দু’শো টাকা বাড়িয়ে ১৭৫০ টাকা করা হয়েছে। যা খোলাবাজারে দামের থেকে আড়াইশো-তিনশো টাকা বেশি। অধিক দাম পাওয়ার জন্য চাষিদের মধ্যে এবার সরকারের কাছে ধান বিক্রি করার আগ্রহ খুব বেশি। চলতি খরিফ মরশুমে ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে সরকার। প্রায় দুই মাসের মধ্যে সরকারি উদ্যোগে প্রায় সাড়ে ২৩ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০ হাজার টন করে ধান কেনা হচ্ছে। ওই ধান থেকে উৎপাদিত প্রায় ৫ লক্ষ টন চাল সরকারের গুদামে ইতিমধ্যে রাইস মিল থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রায় ১৯ লক্ষ টন চাল উৎপাদন হয়ে রাইস মিলে পড়ে রয়েছে। সরকারি গুদামে জায়গা না থাকায় ওই চাল নেওয়া যাচ্ছে না। গত খরিফ মরশুমের তিন লক্ষ টনের বেশি চাল সরকারের কাছে রয়ে গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ চাল রাইস মিলে জমে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাইস মিল ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক। খাদ্য দপ্তরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিল থেকে চাল নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, রাইস মিলে প্রচুর পরিমাণে চাল জমে গেলে তাদের পক্ষে ধান নেওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা কমে গেলে খোলাবাজারে ধানের দাম পড়ে যাবে। কয়েক মাস পরেই লোকসভা ভোট। এই সময়ে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হোক সেটা কোনও অবস্থাতেই সরকার চাইছে না।
খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্তত ৬ লক্ষ টন চাল এফসিআই-কে তাঁরা নিতে বলেছিলেন। এফসিআই তাতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে নেওয়া হচ্ছে না। খাদ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এফসিআই মাত্র ৪০ হাজার টন চাল নিয়েছে। আব্দুল মালেকও জানিয়েছেন, শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে এফসিআই-কে ৭২ হাজার টন চাল নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নেওয়া হয়েছে মাত্র ৩ হাজার টনের মতো চাল। জ্যেতিপ্রিয়বাবু জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে চাল নিতে আগ্রহী। কিন্তু সেই চাল তারা এফসিআই-এর মাধ্যমে নেবে। রাজ্যের রেশন দোকানগুলিতে সরবরাহ করার থেকে অনেক বেশি চাল এখন খাদ্য দপ্তরের কাছে আছে। ফলে ভিন রাজ্যের জন্য এফসিআই-কে দিতে রাজ্যের কোনও অসুবিধা নেই।