ভিজিয়ানগ্রাম, ২৮ সেপ্টেম্বর: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ওপেন করার কথা রহিত শর্মার। অনেকেই ভেবেছিলেন, বোর্ড সভাপতি একাদশের হয়ে প্রোটিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ওপেনার হিসাবে বড় রান করে মনোবল বাড়িয়ে নেবেন ‘হিটম্যান’। কিন্তু দু’বলের বেশি তিনি ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। শূন্য হাতে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। কেরিয়ারে প্রথমবার টেস্টে ওপেনার করার সুযোগ পেতে চলেছেন রহিত। কারণ, হনুমা বিহারি, অজিঙ্কা রাহানে ফর্মে ফেরায় মিডল অর্ডারে তাঁর সুযোগ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। লোকেশ রাহুলকে বাদ দিয়ে শুভমান গিলকে দলে নেওয়া হলেও বিশাখাপত্তনমে প্রথম টেস্টে মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও রহিত শর্মার ওপেন করার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন নির্বাচক প্রধান এম এস কে প্রসাদ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রহিত কিন্তু ওপেনার হিসাবে দারুণ সফল। সেই কারণেই তাঁকে দিয়ে ইনিংসের সূচনা করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু লাল বল নতুন অবস্থায় অনেক বেশি মুভমেন্ট করে। বল নড়লে রহিতের মতো স্ট্রোক প্লেয়ারের সমস্যা হয়। তাই টেস্টে ওপেনার হিসাবে রহিতের পথ চলা কতটা মসৃণ হয়, সেটাই দেখার। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৭৯ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার দেয়। জবাবে বোর্ড সভাপতি একাদশ ৮ উইকেটে তোলে ২৬৫ রান। ম্যাচটি ড্র হয়। ভারতীয় টেস্ট দলের আর এক ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সংগ্রহ ৩৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও তিনি বড় রান পাননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে রানের খরা কাটিয়ে উঠতে না পারলে মায়াঙ্ক দল থেকে বাদ পড়তে পারেন। তবে তাঁর পরিবর্ত হিসাবে যাঁর কথা ভাবা হচ্ছে, সেই অভিমন্যু ঈশ্বরণ (১৩) সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল (৬০), শ্রীকর ভরত (অপরাজিত ৭১) বড় রান পেয়েছেন।
এদিকে, ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ভি ভি এস লক্ষ্মণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে রহিত শর্মাকে সদুপদেশ দিলেন। তিনি বলেছেন, ‘রহিত ওর স্বাভাবিক খেলাটা খেলুক। তাহলেই সাফল্য আসবে। ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হয়েছে, সেটা মাথায় রাখার দরকার নেই। আমিও একটা সময় ওপেন করতাম। কিন্তু অনেক বেশি সাবধানী পদক্ষেপ নিতে গিয়ে সাফল্য পায়নি। রহিত যেন সেই একই ভুল না করে।’ উল্লেখ্য, ওপেনার হিসাবে ব্যর্থ হলেও লক্ষ্মণ কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে দারুণ সফল হয়েছিলেন। তাঁর ব্যাটে বহু ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল ভারত।