বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বারাসত স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সের সামনের ব্লকটি প্রায় ভরে গিয়েছিল। মধ্যমগ্রামের খড়িবাড়ি থেকে ড্রাম নিয়ে এসেছিলেন মোহন বাগান সমর্থকরা। ভিড় ছিল স্থানীয় মানুষজনদেরও। ম্যাচের পর মাঠে দেখা গেল পিয়ারলেসের বঙ্গ ব্রিগেডের নিকট আত্মীয়স্বজনকে। ৬১ বছর পর ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে বৃহত্তর কলকাতা আর হাওড়া থেকে এসেছিলেন ওঁরা। পঙ্কজ মউলার ভাইয়ের হাতে ‘চ্যাম্পিয়ন পিয়ারলেস’ লেখা পোস্টার।
ম্যাচে পিয়ারলেস প্রত্যাশিতভাবে ইচেহীন জর্জ টেলিগ্রাফকে দুই গোলে হারিয়ে পেয়ে যায় কাঙ্খিত জয়। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে পিয়ারলেস কর্তারা খবর পায় বানের জলে ভেসে যাওয়ায় ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচ শুরু হয়নি। হয়তো হবেও না। বিরতিতে পিয়ারলেস এগিয়ে ছিল ৩৭ মিনিটে অনিল কিস্কুর পাশ থেকে ক্রোমার করা গোলে। বিরতিতে কোচ জহর দাস ছেলেদের বলেন,‘ওই ম্যাচ নিগে না ভেবে গোলসংখ্যা বাড়িয়ে নিতে হবে।’ ৫১ মিনিটে অনিলের পাস থেকে ফের গোল করেন ক্রোমা। এরপর দুটি সুযোগ নষ্ট না করলে ক্রোমা হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন। ৮০ মিনিটে ক্রোমার কোনাকুনি শট পোস্টের আধ ইঞ্চি পাস দিয়ে চলে যায়। তিন মিনিটে পঙ্কজ মউলার পাস থেকে ক্রোমা এম মোল্লাকে কাটিয়ে গোল করার মতো অবস্থায় পৌঁছে যান। সেই যাত্রায় জর্জের পতনরোধ করেন ভাস্কর রাউথ। জর্জ টেলিগ্রাফ এদিন নিয়মিত গোলরক্ষক লাল্টু মণ্ডল, প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন মিডিও বাবলু ওঁরাওকে খেলায়নি। দীর্ঘদেহী রাজীব সাউকে পরে নামায়। ৪৭ মিনিটে রাজীব সাউয়ের দুরন্ত শট বাঁচিয়ে দেন অরূপ দেবনাথ। অরূপ প্রতি ম্যাচেই ছিলেন দুরন্ত। নিয়মিত ভালো খেললেও সন্তোষ শিবিরে ডাকা হয়নি তাঁকে। এই ম্যাচে জিতে পিয়ারলেস ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেল পিয়ারলেস। ক্রোমারা গোল করেছেন ২৪টি। ১১টি গোল খাওয়ায় তাঁদের গোল পার্থক্য + ১৩। ইস্ট বেঙ্গলের গোল পার্ভক্য +৭। যার অর্থ রিপ্লে ম্যাচে কাস্টমসকে সাত গোলের ব্যবধানে হারাতে হবে ইস্ট বেঙ্গলকে।
ম্যাচের শেষে পিয়ারলেস কোচ জহর দাস ক্যামেরার সামনে সাফ জানিয়ে দেন,‘ এবারের কলকাতা লিগে ইস্ট বেঙ্গল যা ফুটবল খেলেছে তাতে তিন বিদেশি নিয়ে গড়া কাস্টমসকে সাত গোলে হারালে সেটা শতবর্ষে লাল হলুদের বড় কেলেঙ্কারি হিসাবে চিহ্নিত হবে। আপাতত ওরা সবথেকে বেশি গোলে হারিয়েছে এরিয়ানকে (তিন গোল)। আশা করি, ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা সেই ‘ফাউল প্লে’ করবেন না। দুই প্রধানকে হারিয়েছি আমরা। তাই আমাদেরই চ্যাম্পিয়ন হওয়া উচিত। ইস্ট বেঙ্গলকে হারানোটাই টানিং পয়েন্ট। তবে সবথেকে শক্ত ছিল খেতাবি দৌড়ে থাকা ভবানীপুর ম্যাচ।