বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এই ম্যাচ না হওয়ায় লিগের ভবিষ্যৎ ঝুলে রইল। ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে পিয়ারলেস লিগ শীর্ষে রয়েছে। তাদের গোলপার্থক্য +১৩। ইস্ট বেঙ্গল (+৭) যদি শেষ ম্যাচে কাস্টমসকে সাত গোলের ব্যবধানে হারায় তাহলে তারা ৪০তম কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে। কিন্তু কাস্টমসের টিডি বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য পরিষ্কার বলছেন, ‘আমাদের সাত গোলে হারানো মুশকিল রয়েছে ইস্ট বেঙ্গলের।’
এখন প্রশ্ন, ইস্ট বেঙ্গল ও কাস্টমসের ম্যাচটি কবে হবে? রবিবার আইএফএ কর্তারা জরুরি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২ অক্টোবর কল্যাণী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটি হতে পারে। কিন্তু কল্যাণী স্টেডিয়ামের ইনচার্জ নীলিমেশ রায়চৌধুরি বলছেন, ‘আমি ম্যাচটি আয়োজন করতে তৈরি। কিন্তু পুজো পড়ে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে রাজি হচ্ছে না। আইএফএ যদি কলকাতা থেকে প্রভাব খাটিয়ে পুলিসকে রাজি করাতে পারে তাহলে সমস্যা নেই।’
যদি অক্টোবরে ম্যাচ হয় তাহলে কাস্টমস পড়বে বড় সমস্যায়। কারণ সেপ্টেম্বরেই ফুটবলারদের সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। টিডি বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সরাসরি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আইএফএ’র উপর। তাঁর কথায়, ‘আমরা রেলিগেশন জোনে রয়েছি। তাহলে আইএফএ কেন অবনমনের আওতায় থাকা দলগুলির খেলা একইদিনে ফেলবে না? এটা কাউকে কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার খেলা চলছে।’ ইস্ট বেঙ্গলেরও অভিযোগের তির আইএফএ’র দিকে। ইনভেস্টর কোয়েসের সিইও’কে পাশে রেখেই শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করেছে আইএফএ। জোয়ারের জলের জন্য ইস্ট বেঙ্গল ও কাস্টমস ম্যাচ যখন শুরু হতে দেরি হচ্ছে তখন কীভাবে বারাসতে পিয়ারলেস ও জর্জের ম্যাচ হল? যখন ইস্ট বেঙ্গল ও পিয়ারলেসের চ্যাম্পিয়নশিপের প্রশ্ন রয়েছে। আমরা এই অভিযোগ করে আইএফএ’কে চিঠি দিয়েছি। সেই উত্তর পাওয়ার পর আমরা আবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’ এখন ময়দানে আলোচনা চলছে, কাস্টমস যদি ইস্ট বেঙ্গলকে ওয়াকওভার দেয় তাহলে কী হবে? সেক্ষেত্রে ইস্ট বেঙ্গল তিন পয়েন্ট পাবে। তাতেও ইস্ট বেঙ্গলের চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না। একমাত্র রিপ্লেতে ম্যাচে কাস্টমস যদি ইস্ট বেঙ্গলের কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে লাল-হলুদের লিগ জয় অধরাই থাকবে।