বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন সকালে সিউড়ি শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলিতে সেভাবে ভিড় না হলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীরা আসেন। বিকেলের পর থেকে একাধিক মণ্ডপে ভিড় দেখা গিয়েছে। সাঁইথিয়া শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলিতেও এদিন দুপুরের পর থেকে ভিড় হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, গত কয়েকদিনের তুমুল বৃষ্টির পর বহু জায়গাতেই মণ্ডপ বিপর্যস্ত হয়েছে। মণ্ডপের সামনে মাঠে জল দাঁড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়েছে। তার জেরে বাসিন্দারা এদিন দুপুরের পর থেকে মণ্ডপে আসতে শুরু করেছেন। সিউড়ি শহরের পুজো মণ্ডপগুলি দর্শনের পাশাপাশি বাসিন্দারা এদিন থেকেই আড্ডায় মজেছেন। এদিন সব বয়সের মানুষকেই নতুন পোশাক পরে পুজোমণ্ডপের সামনে দেখা গিয়েছে। সেলফি তোলার হিড়িকও ব্যাপক ছিল।
সাঁইথিয়ার অরুণোদয় ক্লাবের কর্তা পিনাকীলাল দত্ত বলেন, থিম অনুযায়ী আমরা প্রকৃত মায়ের সঙ্গে দেবীদুর্গার মেলবন্ধন ফুটিয়ে তুলেছি। তাই পঞ্চমীর পর ষষ্ঠীতেও বাসিন্দারা আমাদের মণ্ডপ ও ঠাকুর দেখতে ভিড় করেন।
অন্যদিকে, রামপুরহাটেও বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় বাসিন্দারা কেউ ঝুঁকি নিতে রাজি হননি। পঞ্চমী থেকেই মণ্ডপগুলিতে মানুষের যে ঢল নামতে শুরু করেছিল, ষষ্ঠীতে তা কয়েকগুণ গিয়ে বেড়ে দাঁড়ায়।
এদিন সকাল থেকেই ভিড়ের স্রোত শুরু হয়। বিশেষ করে গ্রামের মানুষজনের ভিড় ছিল। তবে, বিকেল থেকে শহরের মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ায় ভিড় বাড়তে থাকে। দশনার্থীদের অনেকের হাতে ছাতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশেষ করে রামপুরহাটের বিগ বাজেটের পুজো নবীন ক্লাব, হাটতলা সর্বজনীন, নিশ্চিন্তপুর পূর্ব সর্বজনীন, বুলেট ক্লাব থেকে শুরু করে তরুণের আহ্বান, দশেরপল্লি পুজোমণ্ডপের সামনে ভিড় ছিল সবথেকে বেশি।
বুলেট ক্লাব কর্তা গোলক হালদার বলেন, পঞ্চমীতে সন্ধে থেকেই ভিড় শুরু হয়। আসলে অনেকে ভিড় এড়াতে আগেই প্রতিমা দর্শন শুরু করেছেন। আবার বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেও কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। নিশ্চিন্তপুর পূর্ব সর্বজনীনের কর্তা কৌশিক আইচ জানান, পঞ্চমীর রাতে তাঁদের পুজোর উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ভিড়ে ঠাসাঠাসি ছিল মণ্ডপ। তিনি বলেন, আসলে সবাই উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিলেন। পিছিয়ে নেই নলহাটি শহরও। উদয়ন সংঘ থেকে মিলনী সংঘেও ভিড় ছিল। সেই সঙ্গে নলহাটির এক হাজারের বেশি পুরনো সিংহবাহিনী মন্দিরেও ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। উদয়ন সংঘের সম্পাদক প্রকাশ দাস বলেন, ভিড় এড়াতে ফাঁকায় ঠাকুর ও মণ্ডপসজ্জা দেখে নিতে চাইছেন মানুষ। আবার কখন যে বৃষ্টি নামে, এই আশঙ্কায় অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন। তবে সন্ধ্যার পর থেকে সেই ভিড় বাড়ে। এই মণ্ডপে পরিবার নিয়ে ঠাকুর দেখতে আসা শুভদীপ দাস বলেন, একবছর পর পুজো এসেছে। শিল্পীরা রাত জেগে মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরি করেছেন। তা যদি দেখতে না পারি আপশোস থেকে যাবে। আর আকাশের যা মতিগতি দেখছি, তাতে ভালো লাগছে না। তাই বেরিয়ে পড়েছি।
আর এক দর্শনার্থী অর্পিতা দাস বলেন, পুজো তো শুরু হয়েই গিয়েছে। তাই বাড়িতে বসে থেকে কী লাভ। আর বৃষ্টি হলে নতুন জামাকাপড় পরা যাবে না। তাই আগেভাগেই বেরিয়ে পড়েছি।
অন্যদিকে, বোলপুরেও আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমে। এছাড়া শেষ পর্যায়ের কেনাকাটা করতেও দোকানগুলিতে বহু মানুষের ভিড় ছিল। এদিন বোলপুর-শ্রীনিকেতন রাস্তা ও বোলপুর স্টেশন থেকে শান্তিনিকেতন রাস্তায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিন দুপুরের পর থেকে পুলিসের যান নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা জারি হয়ে যায়। তার আগে ভাগে বাইকে করে পরিবারকে নিয়ে পুজোর মণ্ডপগুলি ঘুরে নিয়েছেন অনেকেই। বোলপুরের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বলেন, মাসের একেবারে প্রথমেই পুজো পড়ে যাওয়ায় অনেকেই জামা-কাপড় কিনতে পারেননি। এদিন আকাশ মেঘমুক্ত হওয়ায় তাঁরা পোশাক কিনেছেন।