খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
নিউ কোচবিহার স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নিরঞ্জন বর্মন বলেন, এদিন আপ ও ডাউনে কয়েকটি ট্রেন স্টেশন দিয়ে চলাচল করেছে। কিন্তু খুব কম যাত্রী নামেন। স্টেশনের বাইরে কোনও গাড়ি ছিল না। ফলে যাঁরা নেমেছেন তাঁদের অনেকেরই আত্মীয়স্বজনরা এসে নিয়ে যান।
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, ভবানীগঞ্জ বাজার বন্ধ ছিল। শহরের দোকানপাট খোলেনি। ছোট থেকে কোচবিহারে রয়েছি। ৪৫ বছর ধরে ভবানীগঞ্জ বাজারে রয়েছি। জীবনে বহু হরতাল দেখেছি। কিন্তু জনতা কার্ফুতে যেভাবে সবকিছু বন্ধ ছিল এমনটা আগে কখনও দেখিনি।
কোচবিহার শহরের কেশব রোডের উপরে অবস্থিত বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড ও এনবিএসটিসি’র স্ট্যান্ডে অন্যান্য দিন সকাল থেকেই ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। বাসস্ট্যান্ডের সামনে বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এদিন কোনও কিছুরই দেখা মেলেনি। ভরদুপুরে শহরের রাস্তাগুলি দিয়ে এক-দু’টি মোটর বাইক চলাচল করা ছাড়া আর কোনও যানবাহন নজরে আসেনি। কোচবিহার রাজবাড়ি আগেই করোনার কারণে পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মদনমোহন মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড় নেই। ভবানীগঞ্জ বাজারে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয় সেই বাজারও এদিন ছিল জনশূন্য। নিউ কোচবিহার স্টেশনে এদিন ডাউন কামরূপ, রাজধানী, আপ পদাতিক এক্সপ্রেস, বিবেক এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস, অমরনাথ এক্সপ্রেস এসেছে। কিন্তু ওসব ট্রেন থেকে হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী নামেন। স্টেশন চত্বর দিনভর খাঁ খাঁ করে।