খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এবিষয়ে শান্তনুবাবু বলেন, আমাদের একমাত্র মেয়ের অন্নপ্রাশন হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ প্রায় চার মাস আগে ঠিক করে ফেলেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জেরে যে পরিস্থিতি চলছে, সেদিকে চিন্তাভাবনা করে আমরা আপাতত এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করেছি। জমায়েত এড়ালেই এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাত থেকে বাঁচা যাবে। একথা চিন্তা করেই নিজের পরিবার এবং আমন্ত্রিতদের সুরক্ষিত রাখতে এই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি।
সানন্দাদেবী বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ, যাঁরা আমাদের বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন তাঁদের কথা এবং আমাদের মেয়ে- সবার কথা চিন্তা করেই বর্তমানে অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। ভাইরাসের আতঙ্ক কেটে গেলে আবার আমরা এই অনুষ্ঠান করব।
আগামী ২৯ মার্চ মেয়ের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার কথা ভেবেছিলেন রায়গঞ্জের ঘোষ দম্পতি। সেই অনুযায়ী সমস্ত আয়োজন মোটামুটি শেষও করে ফেলেছিলেন তাঁরা। বিলি করা হয়েছিল আমন্ত্রণ পত্র। আদরের মেয়ের অন্নপ্রাশন বলে কথা, তাই আয়োজনের বহরও ছিল অনেকটাই বড়। আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ মানুষকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন ওই দম্পতি। ধুমধাম করে প্রথম কন্যার মুখে ভাতের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাপক উৎসাহিত ছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরিকল্পনা মাফিক সব কিছু ঘটার পথে বাধ সাধল করোনা। বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসের প্রকোপ ধরা পড়ার পর সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে জমায়েত রোখার উপর। জমায়েতের মাধ্যমে সংক্রমণের ঘটনা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি।