খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, জেলায় মোট ১৪৭৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আমরা সকলের উপরে নজর রাখছি। যাঁরা এখন বাইরে থেকে আসবেন তাঁদের আগে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে। সেখান তাঁদের সকলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। পরবর্তীতে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে তিনজন ভর্তি আছেন। তাঁদের নিয়মিত আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
করোনা ভাইরাসের থাবায় কাবু হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। দেশে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাইরের রাজ্য কিংবা বিদেশ থেকে যাঁরা এ রাজ্যে ফিরছেন তাঁদের স্বাস্থ্যদপ্তর অন্ততপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কেউ শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে অতিমহামারী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
কোচবিহার জেলায় আগেই ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা চ্যাংরাবান্ধায় বাংলাদেশ থেকে আসা লোকেদের জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ শুরু করেছিল। এদিকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছিল। পাশাপাশি কোচবিহারে ও দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে একটি করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এবার ভিনরাজ্য বা বিদেশ থেকে কেউ জেলায় এলে তাঁদের সেখানেই প্রথমে রাখা হবে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, গোটা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৫০০’র কাছাকাছি মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হয়েছে। তাঁদের উপর জেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন।
জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা বাড়িতেই থাকছেন কি না তা দেখার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বিভিন্ন পদের প্রায় ৩০০০ কর্মী রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ২০০০ আশাকর্মী ও ৭০০ এএনএম’কে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল সহ নানা জায়গায় নির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত নজর রাখছেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাঁরা ব্লক ও ব্লক থেকে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে রিপোর্ট করছেন। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
এদিকে দিন কয়েক আগে বাইরের রাজ্যে থেকে ভ্রমণ করে আসা কোচবিহারের এক মহিলাকে মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে আরও একজন মহিলাকে ভর্তি করা হয়। পরে আরও একজন পুরুষকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা সকলকেই নজরদারির মধ্যে রেখেছেন।