খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
শিলিগুড়ি গার্লস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন মিড ডে মিলের চাল ও আলু সংগ্রহ করতে ভিড় করেন অভিভাবকরা। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অভিভাবকদের মধ্যে চাল ও আলু বিলি করা হয়। স্কুল সূত্রের খবর, এখানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ৬৮৯জন ছাত্রী মিড ডে মিল খায়। এদিন তাঁদের মধ্যে ২৭০জন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা চাল ও আলু সংগ্রহ করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঋতুপর্ণা গুহরায় ঘোষ বলেন, মাথা পিছু ছাত্রীদের দু’কেজি করে চাল ও আলু দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রায় ১০বস্তা চাল ও ৮বস্তা আলু লেগেছে।
শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুলে চারটি কাউন্টার খুলে অভিভাবকদের মধ্যে চাল ও আলু বিলি করা হয়েছে। স্কুলের মিড ডে মিল পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক হিমাদ্রী শঙ্কর দাস বলেন, স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ১৩৫০জন ছাত্রী দৈনিক মিড ডে মিল খায়। এদিন মিড ডে মিল প্রকল্পের চাল ও আলু সংগ্রহ করেছেন ২০০জন অভিভাবক।
শিলিগুড়ি বয়েস হাই স্কুলেও চাল ও আলু সংগ্রহ করতে ভিড় করেছিলেন অভিভাবকরা। দুপুর দেড়টা নাগাদ আলু শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে কিছুক্ষণ চাল ও আলু বিলি বন্ধ ছিল। এনিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়। বেলা আড়াইটা নাগাদ ফের সেখানে চাল ও আলু বিলি করা হয়।
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকদের মধ্যে প্রদীপ সাহা, হাজিরা খাতুন ও নন্দন পালরা বলেন, করোনা ভাইরাসের আক্রমণ রুখতে আগামী ২৭তারিখ পর্যন্ত বাজার, হাট সহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। তাই রাজ্য সরকার চাল ও আলু বিলি করায় সুবিধা হয়েছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই স্কুলে প্রায় ৩৫জনের মধ্যে চাল ও আলু বিলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি বয়েস প্রাথমিক স্কুলে চাল ও আলু পেয়েছে ১৭০জন। এভাবে শহরের অধিকাংশ প্রাথমিক ও হাই স্কুল থেকে চাল ও আলু সংগ্রহ করতে অভিভাবকদের হিড়িক পড়ে যায়।