উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কেন এমন অভিমত দিল হাইকোর্ট? তার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায় জানান, এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ইত্যাদির শিক্ষকদের ভোটে কেমন ডিউটি দিতে হবে, তার নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া রয়েছে। কিন্তু, প্রথম এর অন্যথা নজরে আসে উত্তরবঙ্গে। ১১ এপ্রিল সেখানে ভোট ছিল। তার আগে বেশ কিছু কলেজের প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যাসোসিয়েট প্রফেসররা লক্ষ্য করেন, ভোটের ডিউটিতে তাঁদের কাজ করতে হবে তাঁদেরই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধস্তন, এমনকী গ্রুপ-ডি স্তরের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে। অনেক ক্ষেত্রেই সিনিয়রিটি এবং বেতনহার অনুসরণ করার গাইডলাইন মানা হয়নি।
এমন অভিযোগ যথারীতি ডিউটি বরাদ্দকারী সরকারি অফিসাররা মানতে চাননি। তাঁদের তরফে আদালতে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ ভোটকর্মীকে দায়িত্ব বণ্টন করার সময় ভুলক্রমে কিছু ক্ষেত্রে এমন হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু, সিংহভাগ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় ১৭ মার্চ সার্কিট বেঞ্চ প্রথম জানিয়ে দেয়, কর্মক্ষেত্রে যে ‘সিনিয়রিটি’ পদ ও বেতনক্রম অনুযায়ী কেউ উপভোগ করেন, ভোটের কাজেও সেই ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে। এর অন্যথা হলে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। পরে ৫ এপ্রিল সার্কিট বেঞ্চ থেকে একই নির্দেশ জারি হয়। কিন্তু, তারপরেও একই অভিযোগ বুধবার হাজির হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
এদিনের শুনানিতে দেখা যায়, রানিগঞ্জ, কুলটি, আসানসোল এলাকার বেশ কিছু কলেজ এবং ওই এলাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পদে কর্মরতরা একই অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছেন। মামলাগুলির প্রথম দিনের শুনানিতে আদালত নির্দিষ্ট কিছু উদাহরণ পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সূত্রে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের কাছে এদিন অন্তত চারটি উদাহরণ পেশ করা হয়, যেখানে ভোটের ডিউটিতে প্রফেসরদের কাজ করতে হবে তাঁদেরই কলেজের গ্রুপ-ডি কর্মীদের তত্ত্বাবধানে। যা দেখার পর আদালত উপরোক্ত মন্তব্য করে সব পক্ষকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। ৭ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।