উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের বাজারে লোহা হল নাইন এম এম, আর সার হল সেভেন এম এমের সাঙ্কেতিক নাম। আর কাটি হল কার্তুজ বা গুলি। এছাড়াও এমন অসংখ্য কোড ওয়ার্ড রয়েছে। ভোট ম্যানেজারদের কাছে এই লোহা বা কাটি নামটি অত্যন্ত পরিচিত। তাই অর্ডার দেওয়ার সময় এই ভাষাই তাঁরা ব্যবহার করেন। যাতে সাধারণ মানুষ এর অর্থ বুঝতে না পারে। নির্বাচন এলেই লোহা বা কাটির চাহিদা বেড়ে যায় স্বাভাবিকভাবে। এবারও এখনও পর্যন্ত তার অন্যথা হয়নি।
এবার লোকসভা নির্বাচনে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের চাহিদা কেমন, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। তা করতে গিয়ে যা তথ্য মিলছে, তাতে তাঁরা বুঝতে পারছেন, চাহিদা কমা তো দূরঅস্ত, উল্টে লাফিয়ে লাফিয়ে তা বাড়ছে। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন অফিসাররা। এর মধ্যেই সুযোগ খুঁজে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে এই কারবারে জড়িত ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, নাইন এম এম পিস্তলের চাহিদা এবার সবচেয়ে বেশি। কয়েকমাস আগেও যা মিলত ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকায়, তা এখন একধাক্কায় দ্বিগুণ হয়েছে। কোথাও বিকোচ্ছে ৩০ হাজারে, আবার কোথাও এর দাম ৪০ হাজার টাকা। দাম বাড়লেও খরিদ্দার কিন্তু কমেনি। আর এই পিস্তলের গুলির দাম ১০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। সেভেন এম এম এবং অন্যান্য পিস্তলের দামও বেশ চড়া। কুড়ি হাজারের নীচে কোনও পিস্তল নেই। গ্রেপ্তার হওয়া এক অস্ত্র কারবারির কথায়, প্রতিদিন অস্ত্র যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। একেকটি পেটিতে থাকছে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি করে নাইন এম এম পিস্তল।
নাইন এম এম পিস্তলের চাহিদা বেশি কেন? গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আসলে এর কার্তুজ সহজলভ্য। দামও তুলনামূলকভাবে কম। সরকারি বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা এই পিস্তল ব্যবহার করে থাকে। আর নাইন এম এম পিস্তল ও কার্তুজের সিংহভাগই আসে ঝাড়খণ্ড থেকে। মূলত বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলা দিয়েই তা এরাজ্যে ঢোকে। তারপর তা যায় অন্য জেলায়। এই রুটকে ব্যবহার করেই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমা কারবার চলছে। ঝাড়খণ্ডের আগ্নেয়াস্ত্রই নাকি ‘ফার্স্ট চয়েস’ ভোট ম্যানেজারদের কাছে।