উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক শুক্রবারও সকাল সকাল সিইও দপ্তরে চলে আসেন। তিনি সিইও আরিজ আফতাবের চেম্বারেই বসেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় দফার ভোটের পর্যালোচনা করেন। কোথাও পুনরায় নির্বাচন করা দরকার কি না, সেব্যাপারে খোঁজখবর নেন। সেখানকার জেলাশাসক, পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলোচনা করেন সিইও দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে। নদীয়ার নোডাল অফিসার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানতে চান। নদীয়ার মতো মিডিয়া ওয়াচ সেকশন থেকে দেওয়া বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নেন।
দুপুরে লাঞ্চ করতে যান এক্সাইড মোড়ের একটি কেন্দ্রীয় সরকারি গেস্ট হাউসে। যাওয়ার সময় বলে যান, রাজ্যে আরও ৩২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। ৯০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসেন সিইও দপ্তরে। ফের বৈঠক করেন অফিসারদের সঙ্গে। সিইও দপ্তরের অফিসারদের প্রতি মুহূর্তে তাঁকে রিপোর্ট করতে হচ্ছে। বিশেষ পর্যবেক্ষকের এই ভূমিকায় অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে কি সিইও’র মাথার উপর তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হল? তাঁর জন্য ছ’তলায় চেম্বার তৈরি হলেও তিনি সেখানে বসছেন না। সবসময় বসে থাকছেন সিইও-র চেম্বারে। প্রসঙ্গত, বিজেপির পক্ষ থেকে সিইও আরিজ আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। সিইও দপ্তরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাই বিহারের প্রাক্তন সিইও অজয় নায়েককে কি সিইও দপ্তরের উপরে নজরদারি করতে পাঠানো হল? উঠছে প্রশ্ন। এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ হয়নি। তবে এটা ঠিক, অজয় নায়েকের বিহারে ভোট পরিচালনার বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিহারের ভোটে গোলমাল কমিয়ে দিয়ে শান্তিতে নির্বাচন করেছিলেন বলে কমিশনের এক কর্তা জানান।
এদিকে, ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ, শনিবার নদীয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায় যাচ্ছেন অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মণ। তিনি দুপুরে নদীয়ায় পুলিস ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ যাবেন। সেখানে সন্ধ্যায় বৈঠকের পরের দিন রবিবার সকালে বৈঠক করবেন বীরভূমে। ফিরে এসে সন্ধ্যায় হুগলিতে বৈঠক করবেন অতিরিক্ত সিইও। তিনি কমিশনের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা ও মডেল কোড অব কন্ডাক্ট দেখেন। উত্তরবঙ্গের ভোট শেষ হয়ে দক্ষিণবঙ্গে ভোট আসতেই কমিশনের তৎপরতা ও প্রস্তুতিও বেড়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি না নিয়ে মালদহের রাস্তায় পদযাত্রা করেছেন বলে সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তার সারবত্তা খতিয়ে দেখতে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মমতার বায়োপিক ‘বাঘিনী’ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যে রিপোর্ট চেয়েছে, তা ছবি সহ অনুবাদ করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।