বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
যদিও পুলিস কর্তারা পুলিসের উপর হামলার ঘটনা মানতে চাননি। রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা বলেন, ইভটিজিংয়ের ঘটনায় জড়িত এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এক পুলিস অফিসার কয়েকদিনের টানা ডিউটির ধকলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জ শহরের বকুলতলা এলাকায় বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দু’ধারে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। শহরেরই এক বাসিন্দা ওই যুবতী তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে সেখানে শোভাযাত্রা দেখতে এসেছিলেন। যুবতী বলেন, আচমকাই এক অচেনা যুবক এসে সকলের সামনে আমার শ্লীলতাহানি করে। ওর চরম শাস্তি চাই। আমাকে মারধরও করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শ্লীলতাহানিতে জড়িত যুবককে স্থানীয় কয়েকজন যুবক চড় থাপ্পর মেরে এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। সে কিছুক্ষণ পর তার দলবল নিয়ে এসে প্রতিবাদী ওই যুবকদের উপর চড়াও হয়। অভিযোগ, যুবকদের হাতে অস্ত্র ছিল। নিরস্ত্র প্রতিবাদীদের বেধড়ক মারধর করে তারা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে স্থানীয়রা প্রশ্ন তোলেন। রায়গঞ্জ থানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে এধরনের ঘটনায় হতবাক হয়ে যান সকলেই। ভয়ে অনেকেই শোভাযাত্রা দেখা বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে কিছু না বুঝেই শ্লীলতাহানির ঘটনায় ক্ষিপ্ত প্রতিবাদীদের দিকে তেড়ে যায়। এতে উত্তেজিত জনতার রোষ গিয়ে পড়ে পুলিসের উপর। জনতার হাতে মারধর খেয়ে তিনজন পুলিস আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রাই জানান। এক পুলিস অফিসারকে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও পুলিস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা মানতে চায়নি। শ্লীলতাহানির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অনুপ কর। তাঁর নেতৃত্বে আক্রান্ত যুবতী রায়গঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই সময় প্রচুর উত্তেজিত জনতা থানায় গিয়ে ইভটিজারের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, ক্ষিপ্ত জনতার কেউ কেউ থানা চত্বরে থাকা কয়েকটি ফুলের টব ভেঙে দিয়েছেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।
টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি অনুপ কর বলেন, ইভটিজারকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে থানায় গিয়েছিলাম। আমাদের এক কর্মীর দিদির সঙ্গে এক যুবক অভব্য আচরণ করেছে। তবে আমাদের কেউ থানায় ভাঙচুর করেনি।
রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকারের অভিযোগ, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন সদস্যের উপর পুলিস চড়াও হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ওই ঘটনায় জড়িত একজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে বলে শুনেছি। আমরা চাই ওই ঘটনায় যে দুষ্কৃতীরা জড়িত, তাদের সকলের বিরুদ্ধে পুলিস আইনানুগ ব্যবস্থা নিক।
এদিকে রাতে শহরের বকুলতলা এলাকায় ইভটিজিংয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন শহরের বাসিন্দারা। পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, এ ধরনের ঘটনা কাঙ্খিত নয়। পুলিসকে নিরপেক্ষ ও কঠোর হতে হবে। রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, সারা রাজ্যের সঙ্গে রায়গঞ্জেও আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। উৎসবের দিনেও জনবহুল এলাকায় বাড়ির মেয়েরা নিরাপদ নয়।