উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
রাজ্যের ৯২ শতাংশ বুথে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী, তার ব্যাখ্যায় শনিবারই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে ১০-১৫ বছর আগের বিহারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিশেষ পর্যবেক্ষকের এহেন মন্তব্যের পরই তৃণমূল বিরোধিতায় সুর চড়ায় বিজেপি, কংগ্রেস আর সিপিএম। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সাংবিধানিক সংস্থার এক কর্তার এহেন বক্তব্য বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য বলেই মনে করে এদিন সুর চড়িয়েছেন মমতা। রানাঘাটের হবিবপুরেও এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, একের পর এক অফিসারকে সরানো হচ্ছে। সার্ভিস অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে সমান্তরাল প্রশাসন চালানো হচ্ছে। এটা অসাংবিধানিক। দৃশ্যত ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, সাত দফায় ভোট করে বাংলাকে আগেই অসম্মান করা হয়েছে। এখন আবার বিহারের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। কটাক্ষ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়, কী করবে দিল্লির পুলিস? জেনে রেখো, মানুষ যা ভাববে, তাই হবে।
বুনিয়াদপুরের সভা থেকে শনিবার মমতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রত্যাঘাত এসেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর তরফে। তিনি বলেন, মা-মাটি-মানুষই আমার পরিবার, পুজো দেওয়ার সময়ের গোত্র। মা গত হয়েছেন। কী আছে আমার! কোনও পরিবার নেই। বাংলার মানুষই আমার পরিবার। দীর্ঘদিন এমপি ছিলাম। সে বাবদ কোনও পেনশন নিই না। কিছুটা আবেগতাড়িত মমতা বলে চলেন, আপনাদের দয়ায় চেয়ারে বসেছি। এক লক্ষ টাকা বেতন, তা নিই না। গাড়ির তেলের খরচ নিই না। চা-টাও খাই নিজের পয়সায়। তাহলে চলে কী করে? গলা চড়িয়ে তাঁর জবাব, কোনও চুরি-ডাকাতি করি না, মোদিবাবু। এখনও পর্যন্ত ৮৭টা বই লিখেছি। বইয়ের দামের ১০ শতাংশ রয়্যালটি পাই। গান লিখি, সুর দিই। তাতেও কিছু পয়সা পাই। সবমিলিয়ে চলে যায়। একবেলা খাই। তাও কারও বাড়ি থেকে আসে। আক্ষেপের সুর মমতার গলায়, চোর বলে বলুক, কিছু আসে যায় না। আগে দুঃখ পেতাম। এখন এসবের ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছি।
গয়েশপুর এলাকায় গতিবিধি রয়েছে মুকুল রায়ের। নাম না করে মমতার নিশানায় এবার বিজেপির এই নেতা। তিনি বলেন, এখানে একটা গদ্দার ছিল, তাড়িয়ে দিয়েছি। গদ্দারদের রাখি না। আরেকটা গদ্দার ছিল ভাটপাড়ায়, সেটাকেও তাড়িয়েছি। যার যাওয়ার ইচ্ছে, চলে যাও। আমি আবার তৈরি করে নেব। মমতার কথায়, এখন এই গদ্দাররা মোদিবাবুকে গ্যাস খাওয়াচ্ছে। বেলুনের মতো ফুলছেন। ওরা নাকি বাংলা দখল করবে! মোদিকে তৃণমূল সুপ্রিমোর কটাক্ষ, তোমার নিজের গদি টলমল। চেয়ারের পায়া নড়ছে। অপেক্ষা করো, ক’দিনের মধ্যেই ধপাস-ধুম হবে।
গয়েশপুরে মমতা।- নিজস্ব চিত্র