উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে পূর্বস্থলী-২ ব্লকে বুড়োরাজতলায় নির্বাচনী সভা করেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে বর্ধমান-১ ব্লকের দেওয়ানদিঘি এবং বিকেল ৩টা নাগাদ সেহেরাবাজারে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন। দক্ষিণ দামোদরে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, সিপিএম অনেক অত্যাচার করেছে। আরামবাগের সেতু পেরিয়ে কীভাবে কঙ্কাল পাচার করা হতো জানি। রায়নার ওদের অত্যাচার ভুলিনি। মানুষ বলত, রায়না-রায়না, সিপিএম আর না। নিজেদের মুখগুলো সিপিএম আয়নায় দেখে না। আমার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়তে না পেরে সবাই মিলে এখানে এক হয়েছে। আর আমরা মানুষকে নিয়ে এক হয়েছি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে গিয়ে মমতা বলেন, বর্ধমানে সাধনপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। শান্তিপুর-কালনা সংয়যোগকারী সেতু তৈরি হবে। সেতুটি তৈরিতে ১১০০ কোটি টাকা খরচ হবে। নিম্ন দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে বন্যা রুখতে ও সেচ ব্যবস্থার উন্নতিতে ৩হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত করতে রাস্তা তৈরি করা হবে। জেলায় ১২টি আইটিআই তৈরি হয়েছে। ২৬টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে। পানাগড়ে শিল্পহাব তৈরি হচ্ছে। রেলমন্ত্রী থাকার সময় ডানকুনি থেকে বর্ধমান রেলপথ থার্ড লাইন করেছি। ডানকুনিতে ফ্রেট করিডর তৈরি করেছি। রাজ্যে কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু চালু করেছি। তাতে একজন চাষি বছরে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবেন। চাষিদের শস্য বিমার জন্য ৯০০ কোটি টাকা এই সরকার খরচ করেছে। ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কোনও চাষি মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কন্যাশ্রী, য়ুবশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী প্রকল্প চালু হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পও চালু হয়েছে। আর মোদিবাবু বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুছ নেহি কিয়া। আর উনি ৫বছর শুধু বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এনআরসি চালু করছেন। কোনও কাজ না করে এখন ভোট চাইতে আসছেন। নোট বাতিল করেছেন। এবার ওরা বাতিল হবে। খালি মিথ্যা কথা বলেছেন। রাজ্যকে টাকা দেয় না। এখান থেকে শুধু টাকা নেয়।
রায়নার সেহেরাবাজারে ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সুনীল মণ্ডল এবং বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে সভা করেন। দুই প্রার্থী ছাড়াও দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর ইলেকশন এজেন্ট উত্তম সেনগুপ্ত, মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম, রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই এবং খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীন বাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বর্ধমানের সভায় দলীয় প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ মালিক, সৈকত পাঁজা, সুভাষ মণ্ডল, প্রার্থীর ইলেকশন এজেন্ট অরূপ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ধমানের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মোদিবাবু বাংলার সংস্কৃতি জানেন না। খালি মিথ্যা কথা বলেন। নোট বাতিল করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে সমস্যায় ফেলেছেন। তাই মানুষ এবার ওদের বাতিল করবে। এদিন দেওয়ানদিঘি ফুটবল ময়দানে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতার সমর্থনে ওই সভা ছিল। কখনও হাততালি দিয়ে আবার কখনও উলু দিয়ে, শাঁখ বাজিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে জনতা।
তিনি বলেন, এখানে মিষ্টিহাব হয়েছে। বর্ধমান চাষের জন্যও বিখ্যাত। এখানে মাটি-তীর্থ কৃষিকথা তৈরি করেছি। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর নাম না করে তাঁর সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, উনি বাংলাকে ভাগ করতে চেয়েছিলেন। পাহাড়ে আগুন লাগিয়েছিলেন। উনি বিমল গুরুংয়ের বন্ধু। পাহাড় এখন শান্ত। বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্তকারীকে একটা ভোটও নয়। ভোট চাইতে এলে ভাগিয়ে দিন।