উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক, বিজেপি, কংগ্রেস সহ অধিকাংশ বড় বিরোধী দলের প্রার্থীরা আগেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিরোধীরা প্রত্যেকেই মিছিল করে শহরের একাংশ পরিক্রমা করে মনোনয়ন জমা দেন। এদিন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও মিছিলের ব্যতিক্রম হয়নি। তবে শাসকদল কার্যত শেষপর্বে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে সোমবার মিছিলে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে বিরোধীদের খানিকটা ব্যাকফুটে ফেলে দেয়। এদিন পুরুলিয়া শহরের জিইএল চার্চ ময়দান সংলগ্ন এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া স্কুল মোড়, হাসপাতাল মোড়, এসপি অফিস মোড়, পোস্ট অফিস মোড় হয়ে মধ্যবাজার পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে বিবিদাস রোড, পুরাতন পুলিস লাইন, হাটের মোড় হয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়ে মিছিল পৌঁছয়। এদিন মিছিলের পুরোভাগে তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সুশান্ত মাহাত, মহিলা সভানেত্রী নিয়তি মাহাত, পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান প্রমুখ। তবে এদিন মিছিলের শুরুতে প্রার্থী সহ জেলা নেতারা পুরোভাগে থাকলেও পরে একের পর এক ওয়ার্ড এবং ব্লক থেকে আসা মিছিল মূল মিছিল মিশে যেতেই কর্মীসমর্থকদের ভিড়ে কার্যত খুঁজে পাওয়া দায় হয়ে পড়ে প্রার্থী সহ জেলা তৃণমূলের নেতাদের।
স্থানীয় ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মিছিলের শুরুর দিকেই মহিলা ঢাকি সকলের নজর কাড়ে। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কর্মী সমর্থকরা নিজেদের উদ্যোগেই কেউ ছৌনাচ, কেউ আবার ঘোড়া নাচ উপস্থাপনা করেন। কেউ আবার আদিবাসী নৃত্যের তালে পা দোলান। অনেকে আবার শিং বাজনার ছন্দে গোটা মিছিল কার্যত নাচতে নাচতে যান। বলরামপুর থেকে আদিবাসীরা নিজের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাদ্যযন্ত্র সহযোগে মিছিলে যোগ দেন। এদিন শুধু লোকসংস্কৃতিই নয়, যুব তৃণমূল কর্মীদের কেউ হ্যান্ড মাইক, কেউ আবার খালি গলাতেই করতালি সহযোগে স্লোগানে গোটা মিছিলে নতুন অক্সিজেন সঞ্চার করে। হুডখোলা জিপ মিছিলে থাকলেও প্রার্থী নিজে গোটা রাস্তা মিছিলেই পা মেলান। জেলাশাসকের দপ্তরের ঢোকার সময় মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে প্রার্থী ও অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের জেলাশাসকের দপ্তরের ভিতরে ঢুকতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়। এদিন জেলা সভাপতি সহ দু’জন মন্ত্রী, সভাধিপতি সর্বক্ষণ প্রার্থীর সঙ্গেই পা মেলান।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তৃণমূল প্রার্থী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং আবেগে ভেসে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এদিনের আবেগ উচ্ছ্বাস ইভিএম মেশিনেও প্রতিফলিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিনের মিছিলের ভিড় এবং আবেগ উচ্ছ্বাস বিগত সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত বলেন, এদিন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। কেউ আবার রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ করেছেন। সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের বিষয়ে যাদের সংশয় ছিল তাঁরা এদিনের মিছিলের পর কার্যত মুখ লুকাতে বাধ্য হবেন।