উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন সেলিম সাহেব আরও বলেন, নোটবন্দি আর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে তিনি নাকি সন্ত্রাসবাদকে শেষ করে দিয়েছেন। এর আগে মনমোহন সিং বিশ্বের দরবারে বলেছিলেন, আমাদের দেশে নিজস্ব কোনও সন্ত্রাসবাদী নেই। অন্য জায়গা থেকে সন্ত্রাসবাদী আসছে। আর এখন বিজেপির কল্যাণে আরএসএসের মদতে সন্ত্রাসবাদ জন্ম নিচ্ছে। এখান থেকে তা রপ্তানি করা হচ্ছে। আমরা বলে আসছি সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা যুদ্ধ আর সাম্প্রদায়িকতা নয়। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হলে মানুষকে এককাট্টা হতে হবে। ভোটের সময় যুদ্ধ যুদ্ধ খেললে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ভোটের আগে ফায়দা তুলতে যুদ্ধ হবে বলা হল। যখন জিনিসের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মানুষ নাজেহাল তখন দৃষ্টি ঘোরাতে যুদ্ধর কথা বলা হচ্ছে। আসলে দু-তিনদিনের বেশি যুদ্ধ করার মতো অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভারত ও পাকিস্তানের নেই। এই যুদ্ধের আবহ তৈরি করে মোদি রির্জাভ ব্যাঙ্ক থেকে ২৮হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন। একইভাবে নোটবন্দির নাম করে অমিত শাহ ৮০০কোটি টাকার ধান্দা করে নিয়েছেন।
অন্যদিকে, সেলিম তৃণমূলকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, এরাজ্যে তৃণমূল গুন্ডামি, চিটফান্ডের টাকা লুট করে মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। ফলে এই লুটেরাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে হবে। গত পাঁচ বছরে কোনও দুর্নীতিবাজের শাস্তি হয়নি। শুধু বক্তৃতা হয়েছে। বিভিন্ন দলের নেতাদের হেলিকক্টার নিয়ে প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় হেলিকপ্টার পাওয়া যেত না। আর এখন বিজেপি ও তৃণমূলের নেতারা সবাই হেলিকপ্টার নিয়ে ঘুরছেন। নিজের লোকসভা আসন নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার আসনে লড়াইটা বিজেপির সঙ্গে। আর তৃণমূলের কিছু দালাল কীভাবে ভোট ভাগ করা যাবে সেই চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, আরএসএস ধর্মের নামে এই দেশের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে শেষ করছে। পাঁচ বছর মোদি সরকার চালানোর পর যেখানে ফুল-পদ্মফুল ছিল সেখানে হাফ হয়েছে। যেখানে হাফ ছিল সেখানে সাফ হয়ে গিয়েছে। আর যেখানে বিজেপি ছিল না সেখানে শাসকদলের দৌলতে বিজেপিরা মাফ হয়ে যাচ্ছে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।