উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে সাড়ে ১১টা নাগাদ সাঁইথিয়া কামোদাকিঙ্কর মাঠে নামে দেবের হেলিকপ্টার। তবে তার বহু আগে থেকেই দেব ভক্তরা সাঁইথিয়ার রাস্তার দু’পাশে ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রখর রোদে যেখানে সকাল ১০টার পরেই বাইরে থাকা দায়, সেখানে এদিন দাবদাহ উপেক্ষা করেই রাস্তায় ভিড় করে জনতা। কেউ বাড়ির ব্যালকনিতে, কেউ আবার রোদ উপেক্ষা করে রাস্তার পাশে বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল সাঁইথিয়া অভেদানন্দ কলেজের কাছে। সেখানে নতুন ভোটারদের ব্যাপক ভিড় ছিল। প্রথমবার ভোট দিতে চলা দীপক চৌধুরী বলেন, আমি দেবের বড় ভক্ত। এই কলেজেই পড়ি। তবে আমি একা নয় আমাদের ক্লাসের সবাই প্রায় এসেছে।
ভক্তকূলের চাহিদা মেনে নেতারা অভিনেতা দেবকে নিয়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডের বলাকা মোড় থেকে রোড-শো শুরু করেন। সামনে পতাকা ছাড়া বাইক মিছিল, পরে ৫০টি ঢাক, তারপরে তাসা সহ নানা আধুনিক বাজনাও। তার পিছনে তৃণমূলের বিশাল ছাতার নিতে হুড খোলা জিপে ছিলেন দেব। তাঁর গাড়ি যত এগিয়েছে, ভিড় তত বেড়েছে। চরমে উঠেছে উন্মাদনা। কলেজ মোড়, থানার কাছে চৌরাস্তা মোড়, হাটতলা মোড় হয়ে শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ড গিয়ে রোড-শো শেষ হয় পুরসভা অফিসের সামনে।
একইভাবে দুবরাজপুরের পাওয়ার হাউস মোড় থেকে শুরু হয় এই অভিনেতার রোড শো। সেখানেও একই চিত্র ছিল। রাস্তায় উপচে পড়ে আট থেকে আশি। দেড় কিমি রাস্তা অতিক্রম করে মাদ্রিক সংঘের মাঠে অভিনেতাকে আনতে সময় লেগে যায় আধ ঘণ্টারও বেশি। মাদ্রিক সংঘের মাঠে ছোট সভাও করেন তিনি। ভোট দেওয়া আবেদন জানিয়ে দেব গাড়িতে দুবরাজপুর আশ্রম মোড় পর্যন্ত গিয়ে হেলিপ্যাডের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত ও দুবরাজপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, মানুষের এই উৎসাহ, উদ্দীপনা সত্যিই আমাদের স্বস্তি দিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, গত লোকসভা ভোটে জেলার অধিকাংশ পুরসভা এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল তৃণমূল। প্রায় প্রতিটি শহরেই লিড পেয়েছিল বিজেপি। একই অবস্থা ছিল সাঁইথিয়া ও দুবরাজপুরের। এবারও বিজেপির বালাকোটে গিয়ে জঙ্গি নিধনের প্রচার কিছুটা প্রভাব ফেলেছে শহরের ভোটারদের কাছে। বিশেষ করে যুব সমাজে কাছে। তাই যুব সমাজের আইকন দেবকে এনে তৃণমূল মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।