বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ত্রিশঙ্কু কুর্শামারি গ্রাম পঞ্চায়েতে শাষকদল তৃণমূল বোর্ডগঠন করে গত ১৩ সপ্টেম্বর। নির্দল ও বিজেপি জোটের জয়ী সদস্যদের অভিযোগ ছিল অনৈতিকভাবে সংখ্যালঘু হয়েও বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল। আদালতের নির্দেশে ফের বোর্ড গঠনের বৈঠক হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি বোর্ড গঠনের সভায় উপস্থিত হওয়ার পরও সভা বয়কট করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। নির্দল ও বিজেপি’র আটজন সদস্যের উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাচিত হন নির্দল সদস্য মজিবর রহমান মিয়াঁ। তাঁর অভিযোগ, প্রধান নির্বাচনের সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও শংসাপত্র দেয়নি প্রশাসন। এদিকে প্রধান না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে প্রধানের শংসাপত্রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গত সাতদিন ধরে প্রধান না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।
এব্যাপারে মাথাভাঙা-১ ব্লকের বিডিও বলেন, বোর্ড গঠনের পর প্রধানকে শংসাপত্র ও দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। তা পূরণ করতে গিয়ে দেরি হচ্ছে আগামী সপ্তাহে প্রধানকে শংসাপত্র দেওয়া হবে। যদিও বিডিও’র একথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না নব নির্বাচিত প্রধান মজিবর রহমান মিয়াঁ। তিনি বলেন, আমরা জানি প্রধানের শংসাপত্র দিতে দু’তিন দিন সময় লাগে, সেখানে এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ এজন্য সমস্যায় পড়ছেন। প্রতিদিন আমার বাড়িতে অনেকে আসছেন রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের জন্য। নির্বাচিত প্রধান হয়েও আমি তা দিতে পারছি না। আমাদের সন্দেহ আমাকে প্রধানের শংসাপত্র ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে শাসকদলের মদতে প্রশাসন ঢিলেমি করছে। যদিও তৃণমূলের মাথাভাঙা-১ ব্লক সভাপতি মজিরুল হোসেনের দাবি, এব্যাপারে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, প্রধানকে শংসাপত্র বা দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন বিডিও। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।