বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এবছর মালদহে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৪৮ হাজার ৬২০ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ২৮ হাজার ৩৭৬ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় এবার ৬৩৫জন বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রের সংখ্যা ২০ হাজার ২৪৪ জন। পাশাপাশি জেলায় হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় বসছে ১২ হাজার ৩৩৯জন পড়ুয়া। আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষা দিচ্ছে যথাক্রমে ১৫২৬ জন এবং ৮৫৫ জন পরীক্ষার্থী।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, এবার মালদহের ১৯টি মূল কেন্দ্র থেকে ১০৭টি বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন জানিয়েছেন, হাই মাদ্রাসা পরীক্ষা হবে জেলার ২৪টি কেন্দ্রে।
পরীক্ষার্থীদের যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য আলাদা করে ট্রাফিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। নকল রুখতে নজরদারি চালাবে পুলিসও। জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার বলেন, আলাদা করে স্পর্শকাতর কেন্দ্র বলে কিছু নেই। সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই উপযুক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা ট্রাফিক পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জুড়ে ৪৪টি নির্দিষ্ট পয়েন্টে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিস। সুজাপুর, কালিয়াচক চৌরঙ্গী, রথবাড়ি, গাজোল কদুবাড়ি মোড়, হবিবপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় এই বিশেষ পয়েন্টগুলি থাকছে।
ডিএসপি (ট্র্যাফিক) শুভতোষ সরকার বলেন, পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে ওই পয়েন্টগুলিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ চলবে। মাধ্যমিক ও হাই মাদ্রাসা পরীক্ষা শুরুর আগে এবং শেষ হওয়ার পরে জেলার ১২টি জায়গায় ভারী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়াও আরও চারটি জায়গায় ব্রেক ডাউন ভ্যান সার্ভিস থাকবে। জাতীয় বা রাজ্য সড়কগুলির কোথাও কোনও বড় গাড়ি খারাপ হয়ে গেলে দ্রুত রাস্তা ফাঁকা করার ব্যবস্থা করা হবে।
জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সারতে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারী আধিকারিকরা পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে দায়িত্ব পালন করবেন। পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন কঠোরভাবে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কলকাতা থেকে টেলিফোনে বলেন, সারা রাজ্যে ১৭৫টি কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজার পরীক্ষার্থী হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষা দেবে এবছর। উল্লেখ্য, এবছর মালদহে মাধ্যমিক এবং হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশ কিছুটা বেশি। শিক্ষা মহলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মত প্রকল্পের সুবাদেই ক্রমশ মেয়েরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় এগিয়ে এসেছে। তারই প্রমাণ মিলেছে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা বেশি সংখ্যায় রাজ্য স্তরের পরীক্ষা দেওয়ায়।