রাজ্য

সুপ্রিম কোর্টকে বুড়ো আঙুল জুনিয়র ডাক্তারদের, ফের শুরু পূর্ণ কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রথমে আবেদন, তারপর সরাসরি নির্দেশ। আর জি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে সময়সীমা পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কর্ণপাত করেননি আন্দোলনকারীরা। পরে অবশ্য রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ায় আংশিকভাবে ডিউটিতে ফেরেন সকলে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি শীর্ষ আদালত। সোমবার মামলার চতুর্থ শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় স্বয়ং স্পষ্ট করে দেন, ‘শুধু জরুরি পরিষেবাই দিলে হবে না। আউটডোরেও বসতে হবে কর্মবিরতিতে শামিল বাংলার জুনিয়র ডাক্তারদের।’ সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশকেও ‘বুড়ো আঙুল’ দেখালেন বাংলার জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁরা রাজ্যজুড়ে ফের সম্পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করলেন। সাধারণ দেশবাসীর কাছে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ শিরোধার্য। সেই সুপ্রিম কোর্টকেই জুনিয়র ডাক্তাররা এভাবে অগ্রাহ্য করায় হতবাক রোগী ও তাঁদের পরিবার-পরিজন। তরুণ চিকিৎসকদের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষও। 
এদিন বনগাঁ থেকে দাদাকে নিয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সিতে (এখন ট্রমা কেয়ার) এসেছিলেন ভাই তাপসকুমার ঘোষ ও বোন নন্দিতা ঘোষ। দাদা কুমুদরঞ্জন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। পচন ধরতে শুরু করেছে পায়ে। অবিলম্বে ভর্তি করে ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পচন ধরা অংশের চিকিৎসা ও ড্রেসিং জরুরি।  অভিযোগ, ইমার্জেন্সিতে দেখানো মাত্র তাঁকে বলা হল বাড়ি চলে যান। সেখানেই ড্রেসিং করাবেন। কিন্তু কেন? ইমার্জেন্সি সূত্রের খবর, ওই রোগীকে ভর্তি রাখলে পায়ের ‘ডায়াবেটিক ফুট আলসার’ অচিরেই গ্যাংগ্রিনে পরিণত হবে। পা বাদ দিতেও হতে পারে। কারণ, জুনিয়র ডাক্তাররা সবাই তো ধর্নামঞ্চে! কে করবে রোজ ড্রেসিং? সকালে ৬০০ টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিয়ে এসে হাসপাতালে চড়কিপাক খেয়ে কার্যত বিধ্বস্ত ভাই-বোন। বললেন, ‘ওঁরা কী ভাবেন নিজেদের? সুপ্রিম কোর্ট বলার পরও কেয়ার করছেন না। আমাদের সত্যিই কিছু বলবার নেই। ওঁরা গরিব মানুষের দুঃখ বোঝেন? মনে তো হয় না!’
সোমবার রাতে প্রায় ৮ ঘণ্টা জিবি মিটিং করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর মঙ্গলবার সকালেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুজোর মুখে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা হয়। পেশ করেন ১০ দফা দাবিপত্র পেশ করেছেন আন্দোলনকারী। তাঁদের মতে, ‘আসলে রাজ্য সরকারেই সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।’ 
অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এদিন সন্ধ্যার মধ্যে পরপর তিনটি নির্দেশ জারি করে বুঝিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের সদিচ্ছায় কোনও খামতি নেই। সেগুলি হল—এক, রাজ্যের সবক’টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই, ক্যান্সার সার্জেন ডাঃ সৌরভ দত্তের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যদপ্তরে গঠিত হয়েছে রাজ্যস্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তিকরণ কমিটি। আর তৃতীয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতার নির্দেশে নতুনভাবে তৈরি রোগী কল্যাণ কমিটি কেমন হবে, সেই সংক্রান্ত। সাত সদস্যের এই কমিটিতে চেয়ারপার্সন হবেন অধ্যক্ষ। সুপার তথা উপাধ্যক্ষ ছাড়াও ২ জন বিভাগীয় প্রধান, একজন করে সিনিয়র, জুনিয়র চিকিৎসক ও নার্সিং কর্মী এবং একজন করে জনপ্রতিনিধিও থাকবেন। 
এদিকে, রেসিডেন্ট ডাক্তারদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোগী কল্যাণ সমিতির সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডাঃ সুদীপ্ত রায় ও প্যাথোলজিস্ট জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলকাতা মে঩ডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস দাবি করেছেন, বিভিন্ন ক্রিটিক্যাল ইউনিটে অনৈতিকভাবে বেড ‘বিক্রি’ এবং প্যাথোলজি বিভাগ থেকে কিট বাইরে চলে যাওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত হবে।   
চিকিৎসক নেই। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ওপিডিতে লম্বা লাইন রোগীদের। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র
2d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও আর্থিক দিক...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৯ টাকা৮৪.৮৩ টাকা
পাউন্ড১০৯.৪৭ টাকা১১৩.০৪ টাকা
ইউরো৯১.০৬ টাকা৯৪.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা