রাজ্য

কাজে ফিরুন, ডেডলাইন ৫টা, জুনিয়র ডাক্তারদের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘দায়িত্বে অবহেলা করে প্রতিবাদ হয় না। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিন।’ আর জি কর মামলায় বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের উদ্দেশে সোমবার এই নির্দেশই দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজে ফিরলে রাজ্য সরকার বিক্ষোভরত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না। কোথাও বদলিও করবে না। কিন্তু তারপর যদি রাজ্য কোনও পদক্ষেপ নেয়, তা আমরা আটকাতে পারব না। বাকি সিবিআই যেমন তদন্ত করছে, তা চলবে। তদন্ত কতদূর এগল, তা নিয়ে আগামী সপ্তাহেই রিপোর্ট দেবে সিবিআই।’ অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ফের শুনানির দিনই স্টেটাস রিপোর্ট দিতে হবে তদন্তকারী এজেন্সিকে। 
আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় এদিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে ছিল তৃতীয়দিনের শুনানি। সেখানেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য সওয়াল করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষের আইনজীবী কপিল সিবাল। বলেন, ‘২৮ দিন ধরে চিকিৎসকরা ডিউটি করছেন না। বিনা চিকিৎসায় ২৩ জন মারা গিয়েছেন। ৬ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। আবাসিক জুনিয়র ডাক্তাররা ওপিডিতে আসছেন না। তাঁরা চিকিৎসা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড। আন্দোলনের জেরে ৪১ জন পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন। একজন তো চোখই হারাতে বসেছেন।’ তারপরই অবশ্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ডাক্তারদের কাজে ফেরার বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। তাঁরা দাবি করেন, চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। আইনজীবী গীতা লুথরার বক্তব্য ছিল, ‘চিকিৎসার কোনও ব্যঘাত ঘটছে না। সিনিয়ররা কাজ করছেন।’ এই কথা শুনেই প্রধান বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘সিনিয়ররা আছেন বলে আমি ডিউটি করব না, এটা বলতে পারেন না। আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। জেলাশাসক এবং পুলিস সুপার ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেবেন। তারপরও যদি জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে না ফেরেন, সরকার কোনও ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিলে কিছু বলার থাকবে না।’ জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে অবশ্য এদিন রাতেও কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়নি। তাঁরা জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। তার মধ্যে রাজ্যকে সিপি বিনীত গোয়েলের অপসারণ সহ পাঁচটি দাবি মানতে হবে।
শুনানির শুরুতে অবশ্য তদন্ত প্রক্রিয়া এবং সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্টের উপরই গুরুত্ব দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর ছিল আর জি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফের ব্যবস্থাপনা। দেড় কিমি দূরে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ ওঠে। সিবাল অবশ্য জানান, সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে।  তারপর মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া রিপোর্ট পড়েন তিন বিচারপতি। তাতে বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে বলেই ইঙ্গিত করে সুপ্রিম কোর্ট। ‘বডি চালান’ ছাড়া কীভাবে ময়নাতদন্ত হল? জানতে চাওয়া হয় রাজ্যের কাছে। কপিল সিবাল জানান, পরের তারিখে তা পেশ করা হবে। টাইমলাইন নিয়েও একপ্রস্থ চাপানউতোর চলে দু’পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে। মৃতদেহ দেখা গিয়েছে সকাল সাড়ে ন’টায়। ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু বেলা ১টা ৪৭ মিনিটে। আর পুলিস জিডি করেছে দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে! এফআইআর ছাড়া কীভাবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নমুনা সংগ্রহে ঘটনাস্থলে গেলেন এবং কীভাবেই বা সন্ধ্যা ছ’টার পর এই স্পর্শকাতর মামলায় ময়নাতদন্ত হল, এই প্রশ্নও উঠেছে এদিন। ঘটনাস্থলে সার্চ অ্যান্ড সিজার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা ৪৫ পর্যন্ত চলেছে শোনার পরও অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। পাশাপাশি বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ভোর থেকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু পর্যন্ত পুরো সময়ের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে? সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, মাত্র ২৭ মিনিটের ফুটেজ পেয়েছে সিবিআই। সিবাল পাল্টা বলেন, ‘না। সবই দেওয়া হয়েছে। চারভাগে। টেকনিক্যাল গ্লিচ ছিল বলে একটার মধ্যে দেওয়া যায়নি।’ শুনেই তীব্র আক্রমণ করেন মেহতা। বলেন, ‘এটাই তো সিরিয়াস সন্দেহের কারণ।’ সেইসঙ্গে মেহতা রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি নিয়ে। বলেন, ‘মৃতার নমুনার রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই ফের এইমস সহ অন্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হবে।’ আদালত জানায়, ‘তদন্তের প্রয়োজনে যা করার করুন। এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলব না।’
10d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৯.৩৫ টাকা১১২.৯২ টাকা
ইউরো৯১.৯২ টাকা৯৫.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা