রাজ্য

দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার সন্দীপ, সিবিআই জালে আরও ৩, খুন-ধর্ষণ তদন্ত আঁধারেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গ্রেপ্তার আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার ২২ দিন পর। সেটাও কিন্তু ‘অভয়া’কে ধর্ষণ-খুনের মামলায় নয়। আর জি করে অনিয়মের তদন্তে। অর্থাৎ, চেনা ছকে ফিরল সিবিআই। সোমবার সন্ধ্যায় নাটকীয়ভাবে সন্দীপ ঘোষকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হল নিজাম প্যালেসে। সেখানেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির দুর্নীতি দমন শাখার উইং। তারপরই খবর এল, গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। রাত পর্যন্ত খবর, দুর্নীতি মামলায় তাঁর সঙ্গে আরও তিন ঘনিষ্ঠ গ্রেপ্তার হয়েছে। তাঁরা হলেন, ঠিকাদার বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা এবং আফসর আলি। সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল বর্জ্য নিয়ে অনিয়ম, টেন্ডার দুর্নীতি, অঙ্গ পাচার, এমনকী মর্গের মৃতদেহ পাচারেরও। সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্দীপের জবাবে অসঙ্গতি মিলেছে। তাই গ্রেপ্তারি। আজ, মঙ্গলবার তাঁদের আলিপুর আদালতে হাজির করানোর কথা রয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২৪ আগস্ট সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হাতে আসে সিবিআইয়ের। টালা থানায় আইএএস অফিসার দেবলকুমার ঘোষ প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে লালবাজার দুর্নীতির কেস রুজু করে। গঠিত হয় সিটও। সন্দীপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলিও। মামলা হাতে নিয়েই দুর্নীতি দমন আইনে সন্দীপ ঘোষ ও দু’টি কোম্পানির বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। ২৫ আগস্ট সকালেই তাঁর বাড়ি পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের টিম। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় আর্থিক লেনেদেনের বহু নথি। সঙ্গে বরাতপ্রাপ্ত বিভিন্ন কোম্পানির কাগজপত্র ও সরকারি তথ্য। একইসঙ্গে দু’টি মামলায় তাঁকে জেরা শুরু করে সিবিআই। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন এবং আর জি কর দুর্নীতি। একদিকে খুনের ঘটনাস্থল থেকে তথ্য-প্রমাণ লোপাট, আর অন্যদিকে বেতনের টাকায় সন্দীপ কীভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হলেন—এই দুই প্রশ্নেই থমকে রইল সিবিআইয়ের তদন্ত। অবশেষে এতদিন পর গ্রেপ্তারি। 
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় হাসপাতালের রাসায়নিক বর্জ্য বিক্রি, অঙ্গ পাচারের নথি তুলে ধরা হয়েছিল সন্দীপের হাতে। তারপরও অবশ্য তিনি গোটা বিষয় অস্বীকার করেন। এর মাঝে পলিগ্রাফ টেস্টে বসানো হয়েছে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সহ অন্যরাও তাঁর দুর্নীতির খতিয়ান ফাঁস করেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জানিয়েছেন, সরকারি টাকা তাঁর হাত দিয়ে কীভাবে নয়ছয় হয়েছে। এমনকী, দেহ পাচার যে সন্দীপের নির্দেশ মেনেই হতো, তা মর্গের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে এজেন্সি। এরপর প্রাক্তন অধ্যক্ষকে শনি ও রবিবার ডাকা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। তার কারণও দর্শাননি। এরপরই সোমবার সন্দীপকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।
এজেন্সি সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে তারা সন্দীপের বিরুদ্ধে কয়েকশো কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ পাচ্ছে। হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য আসা রাজ্যের বরাদ্দ ও কেন্দ্রের ভাগের টাকা তিনি খাতায়-কলমে খরচ দেখিয়েছেন। হাসপাতালের ওটি, সিসি ক্যামেরা, বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক মেশিন সহ একাধিক সামগ্রী কেনার কথা বলা হয়েছে। বাস্তবে তা কেনাই হয়নি বলে অভিযোগ। যে পরিমাণ ওষুধ কেনার কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে আসেনি সেইসবও। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে কোভিডের সময়। তখন পিপিই কিট, ওষুধ সহ বিভিন্ন জিনিস কেনার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা হাসপাতালে আসেনি। গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, সন্দীপবাবু পছন্দের দু’টি সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়ে মোটা টাকা কমিশন নিয়েছেন। ভুয়ো রোগী খাড়া করে হাসপাতালের স্টেন্ট, পেসমেকারের মতো সামগ্রী বাইরে বিক্রি করেছেন। টেন্ডার না ডেকেই চলেছে বায়ো ওয়েস্ট বিক্রি। সেটাও রোজগারের অন্যতম সূত্র। এই টাকা কোথায় তিনি গচ্ছিত রেখেছেন, তা জেরা করে জানবে এজেন্সি। কিন্তু ধর্ষণ-খুনের তদন্ত? সে ব্যাপারে এদিনও জোরদার কোনও তথ্য সিবিআইয়ের তরফে মেলেনি। অগ্রগতি বলতে একটাই—সেমিনার রুমে তরুণীর দেহ পড়ে থাকার সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে উপস্থিত থাকায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা অভীক দে’কে সাসপেন্ড করেছে দল।
17d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৯.৩৫ টাকা১১২.৯২ টাকা
ইউরো৯১.৯২ টাকা৯৫.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা