Bartaman Patrika
বিনোদন
 

সুরের সরণির যাত্রীরা 

এ যেন বাঙালির প্রতি বছরের উত্সব। সুর-তাল-সঙ্গীতের উত্সব। ঘড়ির কাঁটা রাত দশটা ছুঁলেই আপামর বাঙালি পৌঁছে যায় সুরের সরণিতে। সুরের এই সরণির পোশাকি নাম ‘জি বাংলা সা রে গা মা পা’। এখানকার বাসিন্দার সংখ্যা কমতে কমতে এখন দশ। কিছুদিনের মধ্যেই গ্র্যান্ড ফিনালে। বেছে নেওয়া হবে এই সরণির সম্রাটকে। সম্রাট বা সম্রাজ্ঞী হয়তো একজনই হবেন, কিন্তু এঁদের প্রত্যেকের মধ্যেই সুরের অধিপতি বিরাজ করছেন। কেমন ছিল তাঁদের সাঙ্গীতিক যাত্রাপথ? খোঁজ নিলেন সোহম কর।

নোবেল
বাংলাদেশের ছেলে নোবেল। তিনি কলকাতায় এসেই সবার মন জয় করে নিয়েছেন। শুনলে অবাক হতে হয়, গানের কোনও প্রথাগত শিক্ষা তাঁর নেই। ‘ছোটবেলা থেকে গান শুনতে ভালোলাগত। আসলে আমি একজন ভালো শ্রোতা। ২০১৬ সালে আমি ঠিক করি এবার আমার গান করা উচিত। তখন থেকে মিউজিক করা শুরু করি’, বললেন নোবেল। জি বাংলার এই প্ল্যাটফর্ম তাঁকে আকৃষ্ট করল কীভাবে? বললেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজন এই অনুষ্ঠান দেখতে খুব ভালোবাসেন। ওরাই আমাকে অডিশন দেওয়ার কথা বলেন।’ গান বাজনা শুরু করার পরে বাংলাদেশে নোবেল একটি ব্যান্ড করেছিলেন। ‘ওখানে আমার একটা ব্যান্ড ছিল। কিন্তু আমরা তো একটু অন্য ধরনের মিউজিক করতাম তাই কেউ খুব একটা শুনত না। আমাদের কেউ শো দিত না। আমি ছোটবেলা থেকেই জেমসের গান শুনতাম। এখানে এসে ওই শোনাটা কাজে লেগেছে। তবে, ব্যান্ডে জেমস বা আইয়ুব বাচ্চুর গান গাইতাম না’, এমনটাই বললেন নোবেল। তখন তিনি গানও লিখতেন। তবে এই মঞ্চে খানিক অন্য ধরনের গান গাইতে হচ্ছে। নোবেল মনে করেন, ‘এখানে গান গাইলে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছি। এরকম তো নয় যে, আগে গান গাইতে পারতাম না, এখানে এসে অনেককিছু শিখে গিয়েছি।’ কলকাতায় আসার পরে নোবেল ব্যান্ড ছেড়ে দিয়েছিলেন। এখন বাংলাদেশে কয়েকজন বন্ধু মিলে আবার নতুন ব্যান্ড করার পরিকল্পনায় রয়েছেন নোবেল। নোবেল ‘ভিঞ্চিদা’ ছবিতে একটি গান গেয়েছেন। এটিই তাঁর প্রথম প্লেব্যাক। এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি তো অনুপমদা (রায়)-র ফ্যান। তাঁর সঙ্গে কাজ করা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার সমান।’

গৌরব সরকার

বাংলার সঙ্গীত মহলে গৌরব কিন্তু ইতিমধ্যেই পরিচিত নাম। তাহলে আবার প্রতিযোগিতায় কেন? বললেন, ‘আমি এই অনুষ্ঠানের প্রায় প্রত্যেকটা সিজন দেখেছি। আমার মনে হয় একমাত্র এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত সঙ্গীতপ্রিয় মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়। আমার নিজের গানকে সবার কাছে পৌঁছে দিতেই এখানে আসা।’ গৌরব তাঁর ঠাকুরমা রত্না সরকার কাছে প্রথম তালিম নেওয়া শুরু করেন। গৌরবের ঠাকুরমা সলিলীল চৌধুরী, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, নির্মলেন্দু চৌধুরীর মতো মানুষদের সঙ্গে কাজ করেছেন। গৌরব বললেন, ‘আমি ক্লাসিক্যাল মিউজিক শিখেছি পণ্ডিত আনন্দ গুপ্তর কাছ থেকে। তারপর আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পাই। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন বছর পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে তালিম নিই। সেই সময় পড়াশোনার জন্য বছর দু’য়েক গান শেখা বন্ধ ছিল।’ এরপরে গৌরব গান শেখার সুযোগ পেয়েছিলেন গৌতম ঘোষালের কাছে। ‘আমি ছোটবেলা থেকেই মহীনের ঘোড়াগুলি, কবীর সুমন, নচিকেতা এঁদের গান শুনে বড় হয়েছি। তার সঙ্গে পুরনো গান তো ছিলই। কিন্তু ওই নতুন গানগুলি আমায় খুব আকৃষ্ট করত। সেখান থেকেই নতুন বাংলা গান করার আগ্রহ জন্ম নেয়,’ এমনটাই বলছিলেন গৌরব। এর আগেও বিভিন্ন মাধ্যমে গৌরব নতুন বাংলা গান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি দু’টি বাংলা ছবিতে প্লেব্যাকের কাজ করেছিলেন। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবিতে গান গাওয়ার অফার পেয়েছেন।

গুরুজিত্ সিং
দুর্গাপুরের বাসিন্দা পাঞ্জাবি যুবক গুরুজিত্ এখন ক্রমেই বাঙালি দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ‘আমার বাবার কাছে বাংলা-হিন্দি-পাঞ্জাবি মিলিয়ে প্রায় দশ হাজারের বেশি ক্যাসেট আছে। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় থেকে গানের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমি বাবার ব্যবসাতে কাজ করা শুরু করি,’ বলছিলেন গুরুজিত্। এরপর দুর্গাপুরেই খেয়াল, ঠুমরি, দাদরাতে তালিম নেওয়া শুরু করেন তিনি। কিন্তু আগ্রহ ছিল আধুনিক, ফিল্মের গান এবং ভক্তিগীতিতে। চাকচিক্যপূর্ণ মঞ্চ তাঁকে আকর্ষণ করত। মঞ্চের ভীতি কাটানোর জন্য তাঁর বাবা কোনও ব্যান্ডে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। ‘তিন মাস রিহার্সাল করার পরে আমি সেই রক ব্যান্ডের হয়ে গান গাই। ২০০৯ সালে প্রথম শো করে আমি ৫০ টাকা পেয়েছিলাম। ওই নোটটা এখনও আমার কাছে রাখা আছে। আমার বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। বড় কোনও জায়গায় শিখতে পারিনি,’ বলছিলেন গুরুজিত্। একটা সময় লাইভ শো করার জন্য বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছিলেন। সেইসব অনুষ্ঠানগুলিতে গুরুজিতকে পাঞ্জাবি গায়ক হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো। টাকার পরিমাণও ছিল খুব কম। শুধুমাত্র পাঞ্জাবি গান গাইতে গুরুজিতের ভালোও লাগত না। ছোটবেলা থেকেই যেহেতু ভজন গাইতে পারতেন তাই গুরুদুয়ারে গিয়ে কীর্তন এবং মন্দিরে গিয়ে ভজন গাওয়া শুরু করলেন। সেখানেই এক পুরোহিত তাঁকে একটি শ্যামাসঙ্গীত তৈরি করতে বলেন। মন্দিরের অনুষ্ঠানে সেই গান গাওয়ার পরে অনেক লোকের ভালোবাসা পেয়েছিলেন। তখন থেকেই ভক্তিগীতি গাইতে শুরু করেন। ‘এখন শুধুমাত্র এখানেই ফোকাস করতে চাই। এখানে যতদিন আছি মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছতে পারছি। এই বছর মহালয়ার দিনে আমি একটি ভক্তিগীতি নিয়ে আসতে চলেছি। বড় বাজেটে কাজ করার ইচ্ছে আছে’, বললেন গুরুজিত্।

অনন্যা চক্রবর্তী
অনন্যা জানতেনই না কবে সারেগামাপা-র অডিশন আছে। ‘আমার বন্ধুরা অডিশনের খবর রাখে। ওরা আমায় হঠাত্ করে ফোন করে বলে, তুই কি আসবি?’, বললেন অনন্যা। সাড়ে দশটার সময় ঠিক করেন অডিশনে তিনি যাবেন। যোধপুর পার্ক বয়েজে এসে দেখেন বিশাল লাইন। একপ্রকার হাল ছেড়ে দিয়ে লাইন টপকে এগিয়ে গিয়ে দেখেন তাঁরই অনেক বন্ধু একেবারে শুরুর দিকে দাঁড়িয়ে আছেন। ব্যস! পরে এসেও আগে অডিশন দিয়ে ফেললেন। বন্ধুদের হল না, কিন্তু অনন্যা সুযোগ পেয়ে গেলেন। ‘এখানে অনেককিছু শিখতে পারলাম। বিশেষ করে টেকনিক্যাল অনেককিছু জানতে পেরেছি। এই জিনিসগুলি প্রত্যেকদিন গ্রুমারদের কাছ থেকে শিখি’, বলছিলেন অনন্যা। তিনি ছোটবেলায় আবৃত্তি শিখতেন। এছাড়া মা যেহেতু গান গাইতেন তাই হারমোনিয়াম নিয়ে ছোটবেলায় তালিম নিতে বসে পড়তেন। এরপর কিছুদিন পণ্ডিত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খেয়াল শেখেন। অনন্যা বললেন, ‘ছোটবেলা থেকেই লোকসঙ্গীতের উপর আমার বিশেষ ঝোঁক ছিল।’ অনন্যার একটা সময় মনে হয়, এই গান বাড়িতে বসে শেখা যাবে না। উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পরেই অনন্যা একা বোলপুরে বাউলের আখড়ার সন্ধানে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ‘ফেসবুকে কিছু বাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩০০ টাকা হাতে নিয়ে বেরিয়ে যাই। হাওড়ায় গিয়ে দেখি ট্রেন সেই সন্ধেবেলা,’ হাসতে হাসতে বলছিলেন অনন্যা। তারপর ওখানে পৌঁছে গিয়ে মাকে ফোন করে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেন। বিভিন্ন বাউল মেলায় যাতায়াত চলতেই থাকে। বোলপুরেই একটি আশ্রমে থাকতে শুরু করেন তিনি। ‘গান নিয়ে এগনো ছাড়া আমার আর কোনও উপায় ছিল না। উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছিলাম কমার্স নিয়ে তারপর বাংলা নিয়ে আশুতোষ কলেজে। রবীন্দ্রভারতীতে ভোকাল মিউজিক নিয়েও পড়েছিলাম। শেষ সেমেস্টারের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। এটা শেষ হলে দেব,’ এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন অনন্যা।

অঙ্কিতা ভট্টাচার্য
গান বিষয়টা যে কী, সেটা অঙ্কিতা বোঝেন তাঁর ঠাকুরমাকে দেখে। ছোটবেলা থেকেই বাড়ির সহযোগিতা পেয়ে এসেছেন। তার পর হঠাত্ করেই নাচ করার ইচ্ছে জাগে। অতএব অঙ্কিতা শুরু করেন নৃত্যচর্চা। কিন্তু তাঁর বাবা চাইতেন, মেয়ে গানই করুক। কাজই আবার শুরু হল সঙ্গীতচর্চা। এই সব পরীক্ষা নিরীক্ষা যখন চলছে অঙ্কিতার বয়স তখন মাত্র সাত-আট বছর। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় স্থানীয় রাধাপদ পালের কাছে তালিম নেওয়া শুরু করেন। ‘এরপর রথীজিত্ ভট্টাচার্যের কাছে আমি প্রায় ছ’বছর গান শিখেছি। সেখান থেকে জোকা স্টুডিওতে অডিশন দিই। মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল যেন আমি এখানে গান গাই। সেই স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে দেখে মাঝে মাঝে চোখে জল এসে যায়’, বলছিলেন অঙ্কিতা। ইছাপুর হাই স্কুলে সবে মাত্র ক্লাস টুয়েলভে উঠেছেন অঙ্কিতা। শিক্ষক থেকে শুরু করে সহপাঠী প্রত্যেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন।

স্নিগ্ধজিত্ ভৌমিক
দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর শহরের গ্রাম শেরপুরে স্নিগ্ধজিতের জন্ম। গান শেখার শুরু হয় বাবার হাত ধরে। স্নিগ্ধজিত্ তাঁর বাবাকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে দেখেন। ‘আমাদের যৌথ পরিবার ছিল। বাবা-মা বাদে বাড়ির কেউই আমার গান গাওয়া পছন্দ করতেন না। কানের দুল বিক্রি করে মা আমায় হারমোনিয়াম কিনে দিয়েছিল। বাড়িতে রেওয়াজ করতে পারতাম না। প্রতিবেশী বাবাইদার বাড়িতে গান গাইতাম,’ বলছিলেন স্নিগ্ধজিত্। কিছুদিন বাদে স্থানীয় একজনের কাছে তালিম নেওয়া শুরু হয়। কিন্তু আর্থিক সমস্যার জন্য সেটাও বন্ধ করে দিতে হয়। হারমোনিয়ামটিও বিক্রি করতে হয়। তারপর ট্র্যাক ক্যাসেট কিনে বিভিন্ন জায়গায় গান গাওয়া শুরু করেন। মানুষের কাছ থেকে বাহবাও পেতে থাকেন। কিন্তু বাড়ির পরিবেশ বদলায় না। ‘বুনিয়াদপুরের নতুন আলো ক্লাব আমায় ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল। তারপর রায়গঞ্জে সংস্কৃত অনার্স নিয়ে পড়তে এলাম। ওখানেও অনেক মানুষ আমায় সাহায্য করেছেন’, বলছিলেন স্নিগ্ধজিত্। পরিস্থিতির চাপে পড়ে এর মাঝে কলেজ শেষে স্নিগ্ধজিৎকে পালিয়ে বিয়ে করতে হয়।
এদিকে বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হতে থাকে। তখন ঘরে ঘরে গ্যাস লাইটার বিক্রি করতেন তিনি। ‘আমার স্ত্রী অদিতি চাকরি করে সংসার চালাত। আমি তখন গানের জন্য কলকাতায় আসা শুরু করেছি। অদিতি রক্ত বিক্রি করে আমায় তানপুরা কিনে দিয়েছিল,’ বলছিলেন স্নিগ্ধজিত্। ২০১৩ সালে কলকাতায় এসে একটি পানশালায় গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। সেই পরিবেশটাকে মানিয়ে নিতে খানিক সময় লেগেছিল। প্রায় দু’বছর এখানে কাজ করে সংসার চলে। ‘২০১৫ সালে মুম্বইয়ে দ্য ভয়েজ নামক একটি রিয়েলিটি শোতে আমি চান্স পাই। ওটা আমার জীবনে একটা বড় ঘটনা। প্রচুর শো পেতে শুরু করি। আমার পরিবারকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারি,’ বললেন স্নিগ্ধজিত্। ২০০৫ সাল থেকে সারেগামাপা-এর অডিশন দিচ্ছেন তিনি। তারপর আজ সুযোগ পেলেন। তিনি বলছিলেন, ‘সারেগামাপা এক চুটকিতে আমার জীবন বদলে দিল। আমি তিনজনের নাম করতে চাই যাদের ছাড়া এক পা এগোতে পারতাম না দেবাশিস দত্ত, অরূপ সিংহ এবং অরূপ কুমার ঝা।’
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায় 
এক যুগ পর 

বারো বছর আগের কথা। তাই বলে পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে বসেছি এমনটা ভাববেন না যেন। এক যুগ পার হলেও বিষয়টি আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বিষয়টা তবে খোলাখুলিই আলোচনা করা যাক। আজ থেকে বারো বছর আগে ভুলভুলাইয়া ছবিটির নায়কের ভূমিকায় ছিলেন অক্ষয়কুমার। 
বিশদ

আইটেম গানে পূজা 

আবার বাংলা ছবিতে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরসা দাশগুপ্তর ‘বিবাহ অভিযান’ ছবির একটি আইটেম গানে নাচতে দেখা যাবে তাঁকে। গানের সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও গীতিকার শ্রীজাত। বাংলা লোকসঙ্গীত দ্বারা অনুপ্রাণিত এই গানের নাম ‘ভাদু লে লে’। 
বিশদ

সূর্যবংশীতে ক্যাটরিনা 

আবার অক্ষয়কুমার ও ক্যাটরিনা কাইফ একসঙ্গে ছবি করছেন। রোহিত শেট্টির পরের ছবি ‘সূর্যবংশী’তে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন অক্ষয়কুমার। তখন জানানো হয়েছিল কয়েক দিনের মধ্যেই ছবির নায়িকা নির্বাচন চূড়ান্ত করা হবে। এবারে প্রকাশ্যে এল সেই নাম।  
বিশদ

পর্ণাভর শ্রদ্ধার্ঘ্য 

এই নববর্ষে ২৫ বছর পূর্ণ করল প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কালজয়ী গান ‘আমি বাংলায় গান গাই’। সে কথা মাথায় রেখে ওই দিনই গানটিকে নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ করলেন পর্ণাভ। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাঁর হাত থেকেই প্রকাশিত হল গানটির মিউজিক ভিডিও।  
বিশদ

যতীন পণ্ডিতের ছেলে রাহুলের প্রথম মিউজিক ভিডিও 

বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক যতীন পণ্ডিতের (যতীন-ললিত) ছেলে রাহুল সঙ্গীত জগতে পা রাখলেন একটি সুরেলা সিঙ্গল ‘আঁখো কে ইশারে’র মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই গানটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। গানটি পরিচালনা করেছেন রাহুল যতীন স্বয়ং। গানটির ভিডিওতে রাহুল ও সিমনের একান্ত নাচের দৃশ্য রয়েছে। নাচটি কোরিওগ্রাফ করেছেন সাজিয়া ও পীয়ুষ। গানটির কথা লিখেছেন কুমার।   বিশদ

22nd  April, 2019
বিপরীতে রণবীর

রণবীর কাপুরের প্রতি প্রবল প্রেমে আক্রান্ত অলিয়া নাকি তাঁর বিপরীতে একটা রোল পাওয়া জন্য হন্যে হয়ে গিয়েছিলেন। নায়িকা নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, রণবীর তখন বিভিন্ন ছবির কাজে ব্যস্ত, এমন সময় অয়ন মুখোপাধ্যায়কে ধরলেন আলিয়া।   বিশদ

22nd  April, 2019
বড় পর্দায় ফিরছে গোয়েন্দা গিন্নি জুটি 

ছোট পর্দায় নয়। এবারে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গোয়েন্দা গিন্নি’র স্বামী-স্ত্রী জুটি ফিরছে বড় পর্দায়। অর্থাৎ ইন্দ্রাণী হালদার ও সাহেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের একসঙ্গে ছবিতে কাস্ট করেছেন যৌথ পরিচালক রাজেশ দত্ত ও ঈপ্সিতা রায় সরকার।   বিশদ

22nd  April, 2019
চুলবুল পাণ্ডের যাত্রাপথ 

প্রভু দেবা পরিচালিত, আরবাজ খান প্রযোজিত চুলবুল পাণ্ডে ওরফে সলমন খানের ‘দাবাং ৩’ আরও বড়ো আকারে দর্শকদের সামনে আসতে চলেছে। এই মাসের শুরুর দিকে মধ্যপ্রদেশের মহেশ্বরে প্রথম পর্যায়ের শ্যুটিং শেষে মুম্বইয়ের ওয়াইয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, লোকেশন কিছুটা পাল্টেছে।   বিশদ

22nd  April, 2019
ফের পর্দায় রাজু,শ্যাম ও বাবুভাইয়ার ম্যাজিক 

দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান। ১৩ বছর খরা কাটিয়ে ফের পর্দায় ফিরতে চলেছেন রাজু, শ্যাম ও বাবুভাইরা। হেরাফেরির থার্ড পার্টেও থাকছেন অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি, পরেশ রাওয়াল। বি-টাউনে ছবিটি নিয়ে কানাকানি শুরু হয়ে গেলেও তেমনভাবে কিন্তু কিছুই জানা যায়নি। 
বিশদ

22nd  April, 2019
শহরে চলচ্চিত্র উৎসব 

গ্রীষ্মের দাবদাহে নগর তিলোত্তমায় আবার চলচ্চিত্র উৎসবের মজা! সৌজন্যে সিনে সেন্ট্রাল ক্যালকাটা। শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ এপ্রিল। চলবে ২ মে পর্যন্ত। বসুশ্রী সিনেমাহলে উৎসব চলবে বলে জানা গিয়েছে। এবারের উৎসব পা দিল ৩২ বছরে।  বিশদ

22nd  April, 2019
বাদশার কাছে বোনাসের আবেদন বিগবির

বদলা ছবিটি শাহরুখ খান প্রোডাকশন হাউসের নিবেদন। শোনা যাচ্ছে, এই ছবিটিই নাকি রেড চিলি এন্টারটেনমেন্টের সবচেয়ে বড় হিট। ছবি তৈরিতে খরচ হয়েছিল ২২ কোটি টাকা। আর বক্স অফিসে বদলা এখনও পর্যন্ত ব্যবসা করেছে ৮৭ কোটি টাকার। এই খবর পেয়ে কিং খান তো দারুণ খুশি।  
বিশদ

21st  April, 2019
সঙ্গীত জগতেই কেরিয়ার গড়তে চান প্রতীক চৌধুরীর পুত্র 

এবছরই আইসিএসই-র দিয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ঠিক তিন দিন আগে হঠাৎ চলে গেলেন তার বাবা। জীবনের সবথেকে বড় সাপোর্ট সিস্টেমকে হারিয়েও কিন্তু হেরে যায়নি বছর ১৫-র ওই কিশোর। বাবার দেখানো পথেই হাঁটছে সে। 
বিশদ

21st  April, 2019
‘চুপকে চুপকে’-র রিমেকে রাজকুমার রাও 

জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘চুপকে চুপকে’র রিমেকে ধর্মেন্দ্রর চরিত্রে অভিনয় করবেন রাজকুমার রাও। ছবি পুরনো হয়ে গেলেও এখনও মানুষের কাছে এই ছবি জনপ্রিয়তা হারায়নি। এই ছবির আধুনিক সংস্করণ দেখার জন্য দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।  
বিশদ

21st  April, 2019
শ্যুটিং ফ্লোরেই গুরুতর আহত ভিকি 

ভানু প্রতাপ সিংয়ের ভূতের ছবির শ্যুটিংয়ের সময় গুরুতর আহত হলেন অভিনেতা ভিকি কৌশল। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গুজরাতে জাহাজের মধ্যে একটি দৃশ্যের শ্যুটিং হওয়ার সময়েই ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।  
বিশদ

21st  April, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: সোমবার ভোরে সকলের নজর এড়িয়ে তারাপীঠে তারা মায়ের মন্দিরে পুজো দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সম্ভবত গুণগ্রাহীদের নজর এড়াতে টুপি পরে, চাদরে মুখ ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

 জিয়াং (চীন), ২২ এপ্রিল: এশিয়ান কুস্তি প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রত্যাশা বেশি ওলিম্পিক ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী মালিক ও বিশ্বের একনম্বর বজরং পুনিয়াকে ঘিরে। মঙ্গলবার থেকে এই প্রতিযোগিতা ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারপিট চলার সময় ভাইয়ের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান দাদা। যোধপুর পার্কের তালতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বই দিবস
১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপীয়রের জন্ম
১৯৪১ - বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী রে টমলিনসনের জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির জন্ম
১৯৯২: সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৫ টাকা ৭০.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৮ টাকা ৯২.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৯৮ টাকা ৭৯.৯৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩১, ৯৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৮১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭, ৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  April, 2019

দিন পঞ্জিকা

৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৪। জ্যেষ্ঠা ৩০/৫ অপঃ ৫/১৬। সূ উ ৫/১৪/২০, অ ৫/৫৫/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৯ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৫ মধ্যে।
৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ২০/১৭/২৩ দিবা ১/২১/৪৫। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র ৩৫/৫৫/৫৪ রাত্রি ৭/৩৭/১০, সূ উ ৫/১৪/৪৮, অ ৫/৫৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫০/৬ গতে ৮/২৫/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১১/১৮ গতে ২/৪৬/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২১/৫৪ গতে ৮/৪৬/৩৬ মধ্যে।
১৭ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব বই দিবস১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ...বিশদ

07:03:20 PM

আইপিএল: সিএসকের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট খাড়া করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ  

09:37:59 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯১/১ (১০ ওভার)

08:50:51 PM

গুরদাসপুরে সানি দেওলকে প্রার্থী করল বিজেপি 

08:08:03 PM

টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠাল সিএসকে 

07:36:29 PM