উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এই কথাটা আমি নিজেও বুঝিনি ২৮ জুনের আগে। বাড়ির সামনে বাজার থাকায়, ‘যাই একটু ঘুরে আসি, একটু রাস্তায় বেরলে কী আর হবে’। এই মনোভাব নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। সামাজিক দূরত্ববিধিকে মান্যতা দেওয়া যে কতটা জরুরি, এই ভাইরাস তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছে।
আমার বয়স প্রায় ৫৯ ছুঁইছুঁই। করোনার দাপটের গোড়া থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছিল, এই বয়সে কেউ আক্রান্ত হলে, সহজে মুক্তি পাওয়ার আশা ক্ষীণ। তবে আমি বিশ্বাস করতাম, ফিরে আসবই। রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভর্তি থেকে উপলব্ধি করেছি—বিশ্রাম, পর্যাপ্ত দেখভাল ও নির্দিষ্ট সময় মেনে ওষুধ খাওয়া, এই তিনটি বিষয় মানলে ঠিক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা যায়। যেমন আমিও ফিরেছি। সাতদিন জ্বরে আক্রান্ত থাকার পর ৮ জুলাই ভর্তি হয়েছি ও ১৬ জুলাই ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছি। স্ত্রী, ছেলে ও ভাইও পজিটিভ হয়েছে। অদম্য মানসিক শক্তিতেই তাঁরা বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়েছে।
তবে লড়াই শুধু একা লড়িনি, যাঁরা প্রথম থেকে সাহায্য করে গিয়েছেন, সেই ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটর অঞ্জন পাল এবং বরানগর পুর স্বাস্থ্যসচিব পাপিয়া রায়ের কাছে জীবনভর কৃতজ্ঞ থাকব। প্রথম দিন থেকে এঁরা পাশে না থাকলে বেঁচে ফিরতাম না। যেভাবে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভর্তি করা, প্রতিনিয়ত খোঁজ নেওয়া— সব করেছেন এঁরা। একইসঙ্গে, চিকিৎসকদের অসম্ভব ভালো পরিষেবা যুদ্ধ জিততে সাহায্য করেছে।
শেষে একটা কথা বলি, করোনা যদি অসুর হয়, মনে রাখবেন আমাদের ইচ্ছাশক্তিই মা দুর্গা। আর অসুর বধ হবেই।