উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের সাঁতরাগাছি থানার এএসআই আমি। লকডাউনের শুরু থেকেই ডিউটি করে আসছি। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার নিয়মমতো করার পরও কীভাবে যে আক্রান্ত হলাম, বলতে পারব না। আমাদের এক অফিসারের করোনা ধরা পড়ার পর আমরা চারজন সহকর্মী একসঙ্গে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে বাধ্য হলাম। সাঁকরাইলের রাবার পার্কে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাই গত ৯ মে। সেখান থেকে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ১৪ মে জানতে পারি, প্রত্যেকে ‘পজিটিভ’। পুলিস বিভাগ থেকেই ভর্তির ব্যবস্থা করা হয় গোলাবাড়ির একটি বেসরকারি করোনা হাসপাতালে। তবে আমাদের কারও সেভাবে রোগের উপসর্গ ধরা পড়েনি। উপসর্গহীন ১৫ জন একটি ওয়ার্ডে ছিলাম। কথায়-গল্পে কেটেছে সময়। তাছাড়া ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আমাদের। পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়রা সবসময় সাহস জুগিয়েছেন। আগাগোড়া সাহস জুগিয়েছেন খোদ কমিশনার সাহেবও। তবে আমাদেরই এক সিনিয়র সহকর্মীর করোনা হওয়ার পর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। তাঁকে একটা সময় ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন দেখে প্রত্যেকের মনোবলও আরও বাড়ল। তারপর ২৬ মে ওয়ার্ডের ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন একসঙ্গে ছাড়া পাই। এই সময় দপ্তরের কথা বারবার উল্লেখ করব। ছুটি পেতে কোনও সমস্যা তো হয়ইনি, উল্টে সুস্থ হওয়ার পরও সাতদিন বাড়িতে থেকে শরীর-মনে তরতাজা হয়ে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো জুনের প্রথম সপ্তাহে সাঁতরাগাছি থানাতে গিয়ে ফের কাজে যোগ দিই। সবাইকেই বলি, ভয় পাবেন না। একটা দুর্যোগ নেমে এসেছে পৃথিবীজুড়ে। লড়তে হবে মানুষকেই। আসুন, হাতে হাত রেখে এই লড়াই একসঙ্গে করি। দুর্যোগের মেঘ একদিন না একদিন কাটবেই। জিতবে মানুষের সম্মিলিত শক্তি।