উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সংক্রামক অসুখ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অমিতাভ নন্দী দৃঢ়ভাবে এই ধারণার বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, আজ পর্যন্ত সার্স কোভ-২ নিয়ে এমন কোনও গবেষণাপত্র কোথাও প্রকাশিত হয়নি। নিয়ম মেনে ফ্রিজ ব্যবহার করলে কোনও ভয় নেই। এ সব ভ্রান্ত ধারণা। প্রভাবিত হবেন না। তাহলে কি গৃহস্থ নিশ্চিন্তে তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ফ্রিজে চালান করতে পারবে? ভাইরোলজিস্ট ডঃ সৌম্যদীপ্ত রায় বলছেন, নিয়ম মানলে আলবাত পারবেন। করোনার সারা শরীর প্রোটিন স্পাইকে ভরা থাকায় এই ভাইরাস সাবানের ক্ষারেই জব্দ। তাই ভালো করে সব্জি ও বাসন ধুয়ে ফ্রিজে রাখলে কোনও ভয় নেই। কিন্তু তাই যদি হয়, এত আতঙ্ক হঠাৎ ছড়াল কেন? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, এক সময় সার্স ও মার্স ভাইরাস নিয়ে গবেষণায় দেখা যায়, তারা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নীচে বেশি কার্যকর হয়ে উঠছে। কিন্তু মনে রাখবেন, সার্স গ্রুপের নানা ভাইরাসের প্রকৃতি আলাদা। সার্স কোভ-২ ফ্রিজে থাকতে পারে কি না, এ নিয়ে কোনও তথ্য নেই। তবে কোভিড ছড়ানোর আগে থেকেই বিভিন্ন ভাইরাসের হানার সময় ফ্রিজকে কীভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়, তা নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল। অমিতাভবাবু তার সঙ্গে যোগ করলেন আরও বাড়তি কিছু নিয়ম।
ক’টি বিষয় খেয়াল রাখুন—
• বাজার থেকে সব্জি এনে সম্ভব হলে সেগুলোকে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয়ে ধুয়ে নিন, শুকিয়ে ফ্রিজে রাখুন।
• কাঁচা মাছ বা মাংস ফ্রিজে রাখতে অসুবিধা নেই। ভয়ও নেই।
• মাছ-মাংস প্যাকেট থেকে বারবার বার করে, ধুয়ে তা থেকে দিনের প্রয়োজনীয়টুকু আলাদা করে বাকিটা ফের ফ্রিজে রাখার অভ্যেস ভালো নয়। এতে খাবারের গুণগত মান খারাপ হয়। ঠান্ডা-গরমে ব্যাকটেরিয়ার হানা বাড়ে। বাজার থেকে আসার পরই স্যানিটাইজ করা প্যাকেটে দিন অনুযায়ী মাছ-মাংস আলাদা করে রাখুন। যেমন, তিন দিনের জন্য সেখানে বরাদ্দ হবে তিনটি প্যাকেট। যেদিন যেটা লাগছে, বের করে ধুয়ে রান্না করুন।
• ডিম সাবান জলে ধুয়ে ফ্রিজে রাখুন।
• পাউরুটি ও দুধের প্যাকেট রাখার আগেও সেগুলো স্যানিটাইজ করে রাখুন। দেখে নিন এক্সপায়ারি ডেট।
• যাঁরা দুধ ফুটিয়ে ফ্রিজে রাখবেন, তাঁরা প্যাকেট স্যানিটাইজ করে খুলে দুধ ফুটিয়ে নিন।
• ফ্রিজ সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার করুন।