বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় … বাংলা থিয়েটারে এই সব দিকপালদের পরে যাদের নাম সগর্বে উচ্চারিত হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম বিভাস চক্রবর্তী। আমার থিয়েটার জীবনের শুরুতে বিভাসদার কী অসাধারণ সব কাজ দেখেছি! মুগ্ধ হয়েছি আর চেষ্টা করেছি শিক্ষিত হতে। ‘রাজরক্ত’, ‘চাকভাঙ্গা মধু’, ‘নাজীর বিচার’, ‘পাঁচু ও মাসী’, ‘নরক গুলজার’ ইত্যাদি। সেসব ছিল শুধু দর্শক হিসাবে দেখা আর দূর থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা করা। ‘শোয়াইক গেলো যুদ্ধে’-র সময় আমার সৌভাগ্য হলো বিভাসদার কাছে যাওয়ার। ঐ নাটকে মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করার আমন্ত্রণ পেলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। স্বাতীলেখা নান্দীকারের সদস্য, আর আমি তখন নান্দীকারের সম্পাদক। তখন শোয়াইক-এর রিহার্সালে আমি মাঝে মাঝে স্বাতীদির সঙ্গে যেতাম। কখন যে ঐ বিরাট মানুষটি আমার কাছে শুধুই বিভাসদা হয়ে গেলেন বুঝতেই পারলাম না। সেই থেকে বিভাসদার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। বিভাসদা মাটির মানুষ, যার সঙ্গে একটু আলাপেই খুব কাছে চলে আসা যায়।
১৯৮৮ সাল। আমি নান্দীকার ছেড়ে দিলাম। আমার সঙ্গে সোমনাথ, বিমল, পাঁচু, দীপঙ্কর, কল্যাণ, রিঙ্কু আরও অনেকে। আমরা নতুন দল তৈরি না করে নীলাভদের নান্দীপটেই যোগ দেওয়া মনস্থ করলাম। নাটক তৈরি হলো, কার্ত্তিক লাহিড়ীর লেখা ‘মঙ্গলসূত্র’। বিমল (চক্রবর্তী) তখন ‘সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি’ থেকে যুব নির্দেশক হিসাবে কিছু টাকা পেয়েছিল নতুন প্রযোজনা করার জন্য। আমরা সবাই খুবই পরিশ্রম করে নাটকটি করলাম। বিভাসদাকে অনুরোধ করলাম নাটকটি দেখার জন্য। গিরিশ মঞ্চে বিভাসদা এলেন, নাটক দেখলেন। নাটক দেখার পর কৌতুহল বশতঃ জিজ্ঞেস করলাম , ‘কেমন লাগল?’ উনি বললেন, ‘তোমাদের অনেকের বেশ ক্ষমতা আছে অভিনয় করার, গান গাওয়ার, শরীরও ভালো। তবে এরকম বাজে নাটক করো কেন? ভালো নাটক করতে পারো না?’ আমরা বললাম ভালো নাটক পাচ্ছি না তো! শুনে উনি বললেন, পড়াশোনা করো না তো। ভালো নাটক পাবে কী করে? আমার কাছে একটা নাটক আছে, কাল এসে নিয়ে যাবে আর পড়বে।’ সেই অনুযায়ী পরেরদিন বিভাসদার বাড়ি গেলাম। উনি নাটক দিলেন ‘শ্বেত সন্ত্রাস’। নাট্যকার ক্যারেল চাপেক, অনুবাদক আসিতবরন দে। আমরা পড়লাম। তারপর বিভাসদা জানতে চাইলেন, ‘পড়েছ’? আমরা বললাম, হ্যাঁ, খুব ভালো লেগেছে। উনি বললেন, তাহলে শুরু করে দাও। আমরা বললাম, আপনি যদি নির্দেশনা দেন তো আমরা করতে পারি। উনি বললেন, এই প্রযোজনা করতে অনেক খরচ হবে, তোমরা পারবে? জানতে চাইলাম, কত খরচ হবে। উনি বললেন তা প্রায় ষাট হাজার টাকা। দলে তখন টাকা নেই। কিন্তু বিভাসদা আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন এই আনন্দে আমরা রাজী হয়ে গেলাম। সবাই টাকা ধার করে নেমে পড়লাম। বিভাসদা নাটকটি সম্পাদনা করলেন, শুরু হলো মহলা। সেই সময় সামনে থেকে দেখলাম একজন বড় মাপের পরিচালকের কাজ। কীভাবে একটু একটু করে একটা প্রযোজনা তৈরি করতে হয়। উনি বললেন, মিউজিক হবে স্টক থেকে। চলো একদিন কল্যাণের বাড়ি যাই। কল্যাণদার (চৌধুরী) কাছে বহু বিদেশী মিউজিকের রেকর্ড ছিল। একদিন রেকর্ড শুনে উনি কিছু রেকর্ড বেছে রাখলেন। বললেন, রেকর্ডিংয়ের দিন এগুলো নিয়ে এস। রেকর্ডিং শুরু হলো মৌলালিতে গোবিন্দবাবুর স্টুডিওতে। মাত্র তিন ঘণ্টায় রেকর্ডিং শেষ। বিভাসদা চলে গেলেন। সেদিন আমাদের খুব মন খারাপ হয়েছিল। কারণ, এর আগে দেখেছি মিউজিক রেকর্ডিং করতে কত সময় লাগে। আজ বলতে বাধা নেই যে সেদিন মনে হয়েছিল, উনি তো আমাদের দলের নন, তাই বেশি সময় দিলেন না। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে স্টেজ রিহার্সালে দেখলাম কী সুন্দরভাবে মিউজিক নাটকের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে! সেদিন বুঝেছিলাম বিভাসদার মাথাটা কম্পিউটার। ‘শ্বেতসন্ত্রাস’ নাটকে মুখ্য চরিত্রে কল্যাণ সরখেল। সেই প্রথম ওর বড় চরিত্রে অভিনয়। কিন্তু বিভাসদার হাতে পড়ে কী সুন্দর অভিনয় করল... এবং অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলো। শ্বেতসন্ত্রাস নাটক দেখতে শম্ভু মিত্র এলেন রবীন্দ্রসদনে। খুব প্রশংসা করলেন প্রযোজনার। প্রায় আধ ঘণ্টা উনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। উনি চলে যাওয়ার পরে, যখন আমরা সেটের সমস্ত মালপত্র তুলে বেরতে যাব, দেখি বাইরে তখনও দাঁড়িয়ে আছেন অসিত মুখোপাধ্যায়, সলিল বন্দ্যোপাধ্যায় আর দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁরা অপেক্ষা করছেন আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে। শম্ভুদা ছিলেন বলে এতক্ষণ ভিতরে যাননি। ওঁরা বললেন, তোমরা কী করে এইরকম একটা প্রযোজনা করতে পারলে? আমরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি, আর সেটা তোমাদের জানাব বলেই এতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি। নান্দীপটকে তখন তেমন কেউ চিনত না। আমাদেরও তেমন কোনও পরিচয় ছিল না। কিন্তু এতসব দিকপাল মানুষদের প্রশংসায় আমরা বাকরূদ্ধ হয়ে গেলাম। বললাম, সবই বিভাসদার কৃতিত্ব, আমরা শুধু তাঁর আদেশ পালন করেছি। সেই প্রথম নান্দীপট পায়ের তলায় মাটি পেল, বিভাসদার পরিশ্রমে।
এরপর ১৯৯৪ সাল। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হলো। বিভাসদা আমাদের ডেকে বললেন, ‘স্যাস’ পত্রিকায় ‘তীর্থযাত্রা’ নাটক ছাপা হয়েছে, সেটা পড়তে। নাটকটা আমরা পড়লাম। সেটাকে নাটক না বলে প্রবন্ধ বলা যায়, লিখেছেও নতুন একটি ছেলে, শেখর সমাদ্দার। উনি বললেন, চলো, এই নাটকটা করব। প্রচুর ছেলেমেয়ে দরকার। বিভাসদার নাম শুনে বহু ছেলেমেয়ে নান্দীপটে আসতে শুরু করল, শুরু হলো ‘তীর্থযাত্রা’ নাটকের রিহার্সাল। একদিন উনি বললেন, শোনো, তোমাদের দেশভাগের ইতিহাসটা জানতে হবে, শুধু সংলাপ বললে হবে না। সময়কে জানতে হবে। উনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক ডঃ অমলেন্দু দে মহাশয়কে আমাদের দলের ঘরে নিয়ে এলেন। দুদিন উনি আমাদের ক্লাস নিয়েছিলেন। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গার ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস, দেশভাগের কথা উনি আমাদের পড়ালেন। তখন যেন নাটকটা অন্য একটা মাত্রা পেয়ে গেল আমাদের কাছে। বুঝলাম, নাটক করতে গেলে পড়াশোনাটা কত জরুরি। খুব সাফল্য পেয়েছিল সেই নাটক। অসিত মুখোপাধ্যায় নাটক দেখে বলেছিলেন, ‘এই প্রযোজনা বিভাসের পক্ষেই করা সম্ভব। আমরা কেউই এটা করতে পারতাম না।’
বেশ কিছু বছর পর আবার বিভাসদার শরণাপন্ন হলাম। নাটক করব, গিরিশ কারনাডের লেখা বিভাসদার অনুবাদ ‘অগ্নিজল’। বিভাসদা বেশ কয়েকটা রিহার্সালে এলেন। তখন আমাদের দলে ছেলেমেয়ে অনেক কমে গিয়েছে। কিছুদিন পর বিভাসদা বললেন, না, তোমাদের দিয়ে ‘অগ্নিজল’ নাটক করা যাবে না। তোমাদের দলে সেই ছেলেমেয়ে নেই। আমরা মাথায় হাত দিয়ে বসলাম। এবার তবে আমরা কী করব? আবার মুশকিল আসান হলেন বিভাসদা স্বয়ং। সাতদিনের মধ্যে উনি ইতালীর নাট্যকার দারিও ফো-র নাটক ‘আক্সিডেন্টাল ডেথ অব অ্যানার্কিস্ট’ রূপান্তর করে নিয়ে এলেন। আমাদের দলের সৌমিত্র , বিভাসদার বাড়ি গিয়ে নাটকটা লিখত। শুরু হলো ‘মৃত্যু না হত্যা’-র মহলা। বিভাসদা যে কী ভীষণ পরিশ্রম করেছিলেন তা বলার নয়। প্রত্যেকটা চরিত্র উনি অভিনয় করে দেখিয়েছিলেন। উনি যা দেখিয়েছিলেন, তার হয়তো ৬০-৭০ ভাগ আমরা করতে পেরেছিলাম আর তাতেই দর্শক মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। নাটকের রূপসজ্জা, মঞ্চসজ্জা, আলোর ব্যবহার সব উনি নিজে সাজিয়েছিলেন। এমনকি পোশাকের কাপড় কিনতেও আমাদের সঙ্গে দোকানে দোকানে ঘুরেছিলেন। দলে তখন ছেলেমেয়ে বেশি নেই, প্রত্যেকেই অভিনয় করছে। আমার স্ত্রী রিঙ্কু সেই প্রথম বড় চরিত্রে অভিনয় করবে। আমি ভীষণ নার্ভাস। কী করবে? ঠিকমতো করতে পারবে তো? বারবার বলতাম, দেখো, বিভাসদার নাম ডুবিও না যেন। এই কথা আবার বিভাসদাকে বলে দিল রিঙ্কু। উনি খুব বকলেন, বললেন নাটকের নির্দেশক কে? আমি বলছি তুমি পারবে। সত্যিই ঐ নাটকে রিঙ্কু ভালোই অভিনয় করল। নান্দীপটও একজন অভিনেত্রী পেয়ে গেল।
তার বহুদিন পর, আবার বিভাসদা আমাদের দলে নির্দেশনা দিলেন। এবারের নাটক ‘শৃন্বন্তু কমরেডস’। কী পরিশ্রম করে উনি নাটকটার নির্দেশনা দিলেন, তা লিখে বোঝানো যাবে না। সোমনাথ মুখোপাধ্যায় নাটকটি অনুবাদ করেছিলেন। বিভাসদা সম্পাদনা করলেন আর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে নাটকের গান লেখালেন। আর সেই গানে সুর দিয়ে নিজেই গাইলেন সুমন মুখোপাধ্যায়। ওই সময় এই নাটকটি খুব প্রয়োজনীয় ছিল।
বিভাসদা নান্দীপটের শুধু কয়েকটা নাটকের নির্দেশক ছিলেন না। তিনি কতভাবে যে আমাকে বা নান্দীপটকে সাহায্য করেছেন, তা এই অল্প পরিসরে লিখে শেষ করা যাবে না। ২০০৪ সালে নান্দীপটের রজতজয়ন্তী বর্ষ। আয়োজন করা হলো ‘যুব নাট্য উৎসব’। উদ্বোধন করার কথা ছিলো তাপস সেনের। কিন্তু উদ্বোধনের দিন সকালে জানতে পারলাম যে, তাপসদা অসুস্থ আসতে পারবেন না। অগত্যা আবার শরণাপন্ন হলাম বিভাসদার এবং উনি রাজী হলেন এবং উদ্বোধন করলেন। কিন্তু উদ্বোধক –এর জন্য আমাদের যা যা উপহার সামগ্রী ছিল সব তাপসদার বাড়িতে পৌঁছে দিলেন। বললেন এগুলি সব তাপসদার প্রাপ্য, আমি তো প্রক্সি দিয়েছি। এই হলেন বিভাসদা।
১৯৯২ সালে আমার বন্ধু সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সাহায্যে ‘পদ্মা-গঙ্গা উৎসব’ করার সুযোগ পেল নান্দীপট। সোমনাথ তখন ভি এস টি কোম্পানির অফিসার। প্রচুর সাহায্য করেছিল আমাদের। বিভাসদাই এই উৎসবের নামকরণ করলেন ‘পদ্মা-গঙ্গা উৎসব’। দুই বাংলার নাটক, চলচ্চিত্র, গান নিয়ে হয়েছিল এই উৎসব। উৎসব উদ্বোধন করতে রাজি হলেন স্বয়ং শম্ভু মিত্র। উদ্বোধনের দিন মঞ্চসজ্জার দায়িত্ব ছিল আমাদের দলের সুমনের উপর। অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিভাসদাকে মঞ্চে এনে দেখালাম যে সব ঠিক আছে কি না। মঞ্চে মাঝখানে ছিল দুটি বড় বেতের চেয়ার। উনি বললেন দুটি চেয়ার কেন? আমরা বললাম একটি শম্ভুদার আর অন্যটি আপনার। শুনেই উনি প্রচন্ড রেগে গেলেন। বললেন তোমাদের কি বোধবুদ্ধি সব হারিয়েছে? শম্ভুদা আর আমি একই চেয়ারে বসবো!! এখনই একটা চেয়ার সরিয়ে দাও। বলে উনি নিজেই শিশির মঞ্চের গ্রিন রুম থেকে একটা টিনের চেয়ার এনে মঞ্চের এককোণে রাখলেন। এইভাবে উনি অগ্রজকে সম্মান জানালেন আর আমাদেরও বোঝালেন কীভাবে অগ্রজকে সম্মান জানাতে হয়। এই ঘটনার বছর দুয়েক পরের কথা। সেদিন আমাদের দলের ঘরে ‘তীর্থযাত্রা’ নাটকের রিহার্সাল ছিল। উনি আমাকে বললেন, তুমি সাড়ে পাঁচটায় তথ্যকেন্দ্রের দোতলায় চলে আসবে, তুমি এলে আমি চলে আসব। যথারীতি আমি সাড়ে পাঁচটায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। উনি মিটিং থেকে বেরিয়ে আমাকে বললেন, ‘কিছু মনে কোরো না, একটু দাঁড়াও। আমার আরও দশ মিনিট সময় লাগবে’। আমি তো দাঁড়িয়েই থাকতাম। কিন্তু উনি আমার মতো একজন সাধারণ নাট্যকর্মীকে এইভাবে সম্মান জানালেন।
বিভাস চক্রবর্তী যে কত বড় মাপের নির্দেশক, অভিনেতা, নাট্যকার তা আপনারা আমার থেকে অনেক বেশী জানেন। তা নিয়ে আলোচনা করবেন বিদগ্ধ মানুষেরা। বিভাসদা যে কতবড় সংগঠক তার দু-একটা উদাহরণ দিই। তিনি নান্দীকার থেকে বেরিয়ে থিয়েটার ওয়ার্কশপ তৈরি করলেন। আবার থিয়েটার ওয়ার্কশপের চূড়ান্ত সাফল্যের পর তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘অন্য থিয়েটার’। সেখানে শুধু নাট্য প্রযোজনাই নয়, তৈরী করলেন ‘অন্য থিয়াটার ভবন’। খুব বড় মাপের সংগঠক না হলে করা সম্ভব! তিনি শুধু নাট্যদল নয়, তৈরী করলেন ‘বঙ্গ নাট্য সংহতি’। দুঃস্থ, অসুস্থ নাট্যকর্মীদের সাহায্যের জন্য। এই সংস্থা এখনও পর্যন্ত নাট্যকর্মীদের জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা সাহায্য করতে পেরেছে। এইসব করা সম্ভব হয়েছে বিভাসদার নেতৃত্বে। এইরকম বহু ঘটনা বলা যায়, যা এই সল্প পরিসরে লেখা গেল না।
এসবই বিভাসদার থেকে শেখা। বিভাসদার থেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু শিখেছি। অনেককিছু পেয়েছে আমার নাট্যদল নান্দীপটও। বিভাসদাকে পাশে না পেলে নান্দীপট আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারত না। ২৩শে সেপ্টেম্বর বিভাসদার জন্মদিন। জন্মদিনে বিভাসদাকে প্রণাম। আপনি এইভাবে আমাদের পাশে থাকুন, সুস্থ থাকুন, এই কামনা করি।