উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আদিত্য ধিলোঁ নামের এক ভারতীয়কে বিয়ে করেন ময়ূরী। তারপর স্বামীর সঙ্গে পাড়ি জমান নিউইয়র্ক। সেখানে বিপণন ও অর্থায়ন নিয়ে এমবিএ করেন তিনি। রুপোলি পর্দা ছেড়ে বেরিয়ে আসার কারণ ছিল করপোরেট জগতে কেরিয়ার গড়া। পড়া শেষে ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্কের বেশ কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন তিনি। মা হওয়ার সময় আবার ফিরে আসেন এদেশের গুরগাঁওয়ে। সেই থেকেই ফের মুম্বই ও বেঙ্গালুরু যাওয়া-আসা শুরু হয় ময়ূরীর।
ময়ূরীর প্রথম ছবি ‘নাসিম’ মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে। সিনেমা ছাড়াও বেশ কিছু টেলিভিশন ধারাবাহিকেও দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে ‘কহি কিসি রোজ’, ‘কিটি পার্টি’, ‘কেয়া হাদসা কেয়া হকিকত’, ‘কারিশমা: দ্য মিরাকলস অব ডেসটিনি’ উল্লেখযোগ্য। অজয় দেবগণ, অনুপম খের, আরশাদ ওয়ারসি, শক্তি কাপুর, ববি দেওল, রানি মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রচূড় সিংয়ের মতো খ্যাতিমান অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন ময়ূরী।
এক সাক্ষাৎকারে ময়ূরী সাংবাদিকদের জানান, ‘নতুন কোনও ক্লায়েন্টের সঙ্গে পরিচিত হলেই তাদের চোখ কপালে উঠত। তারা বলতেন, ‘আপনি এই পেশায় এলেন কীভাবে?’ এতবার এ প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে যে এক সহকর্মী বলেই বসলেন, উত্তরটা যেন রেকর্ড করে রাখি। যাতে পরেরবার জিজ্ঞেস করলে বাজিয়ে শোনাতে পারি। প্রতিবারই নতুন ক্লায়েন্টদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে হতো। আমাকে তাঁরা যেন স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেন তার জন্য যথেষ্ট কাঠ-খড়ও পোড়াতে হয়েছে আমাকে।’
বলিউডের নারী শিল্পীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, অভিনেত্রীদের অবশ্যই তাদের লেখাপড়াটা শেষ করা উচিত। কেন না, বলিউডে তাদের কাজের সময়সীমা দশ বছর মাত্র। তারপরই তারা বেকার হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু লেখাপড়াটা করা থাকলে অন্য পেশায় চলে যেতে পারবেন তারা।
তবে বলিউডকে বিদায় জানালেও বন্ধুদের কথা ভোলেননি ময়ূরী কঙ্গো। মুকুল দেব, গৌরী প্রধান, আরশাদ ওয়ারসি, শ্বেতা সালভেকে প্রায়ই মনে পড়ে তাঁর।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস