Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

জগজ্জননী কালীমাতার তত্ত্ব

কালী মহাকালের শক্তি মূর্তি। যাহা কিছু কালে ছিল, আছে এবং থাকিবে—সকলই মহাকালীতে বিরাজমান। অনন্ত অতীত, অনন্ত ভবিষ্যৎ একটি নিত্য মূর্তির মধ্যে শাশ্বতভাবে বিরাজিত।
সৃষ্টি ও ধ্বংস, প্রকাশ ও বিনাশ, একই মহাশক্তির পরস্পর-সাপেক্ষ বিবিধ বিকাশ। বীজ-ধ্বংসে বৃক্ষের জন্ম, বাল্যের ধ্বংসে যৌবনের উদয়, মৃত্যুর মধ্য দিয়া অমৃতত্বের আস্বাদন। ভারতীয় ঋষিদের ইহা অপরোক্ষ অনুভূতির বিষয়। ধ্বংসের মধ্যে তাঁহারা অনুপম সৌন্দর্য দেখিয়াছেন, অপার করুণা প্রত্যক্ষ করিয়াছেন।
সেই করুণাময়ী সৌন্দর্যময়ী ধ্বংসের মহাশক্তির বিগ্রহ মূর্তিই কালিকা। কেবল ধ্বংসের নহে, বিশ্বের সৃজন, পালন বিনাশকারী যাবতীয় শক্তিই কালিকাতে বিরাজিত। বিশ্ব-প্রকৃতির মধ্যে যতগুলি ভাব অভিব্যক্ত হয় মানুষের কাছে, শ্রীকালিকাতে সে সকলই বিরাজমান। মহাপ্রকৃতির পরিপূর্ণ চিত্র কালিকা। এই স্বরূপ ভক্তের ধ্যাননেত্রে দর্শনীয়।
কালীর হস্ত চারিখানি। দুই হাতে পালন করেন, দুই হাতে নিধন করেন। বামদিকের খড়্‌গ এবং মুণ্ড ভীষণ ধ্বংসের চিহ্ন। দক্ষিণ দিকের দুই হস্তে বর ও অভয় মুদ্রায় পরম কল্যাণ প্রকটিত। এক হাতে আঘাত, আর এক হাতে সান্ত্বনা। এক হাতে ভীতি-প্রদর্শন, অপর হাতে সন্তানকে ক্রোড়ে ধারণ। এমন বিরুদ্ধতার অপূর্ব সমন্বয়, সামগ্রিকতার পূর্ণ অভিব্যক্তি—সমগ্র প্রাকৃতিক শক্তির এমন পূর্ণতম প্রতীক সারা বিশ্বে কুত্রাপি দৃষ্ট হয় নাই। দেবীর গলদেশ মুণ্ডমালায় বিভূষিত। মুণ্ড হইতেছে জ্ঞান-শক্তির আধার। জ্ঞানরূপ মুণ্ডমালায় মহাশক্তির কণ্ঠ বিভূষিত। মুণ্ডসংখ্যা পঞ্চাশৎ। ইহা পঞ্চাশটি সংস্কৃত বর্ণমালার প্রতীক। বর্ণমালা শব্দ-ব্রহ্মের বহিরঙ্গ প্রকাশ। আর্যঋষি শব্দব্রহ্ম (Logos) তত্ত্বের গভীর তলদেশে বিচরণ করতঃ মহাশক্তির রত্ন উদ্ধার করিয়াছেন। কালিকার কণ্ঠে নরমুণ্ড সুগভীর মন্ত্রশক্তির প্রতীক চিহ্ন।
মায়ের পশ্চাতে আলুলায়িত কেশরাশি যেন একটি যবনিকা। পিছনটা ও মধ্যটা আমাদিগকে দেখিতে দিবেন না। “যাম্যেন চাভবৎ কেশঃ”—যমের শক্তি হইতে কেশ হইয়াছে। জীবনকে রহস্যময় করিয়া রাখিয়াছেন মৃত্যুর আবরণ দ্বারা কোন বৈচিত্র্যময় জগতের চরমতত্ত্বকে রহস্যাবৃত করিয়া রাখিয়াছেন।
কালিকাদেবীর অঙ্গবর্ণ কৃষ্ণ। সর্ব বর্ণের বিলয়-ভূমি কৃষ্ণই। অনন্ত অন্ধকারই কালীর যথার্থ রূপ। ঋগ্বেদ গাহিয়াছেন, “তম আসীৎ তমসা গূঢ়মগ্রে”, আদিতে অন্ধকার গূঢ়ভাবে লুক্কায়িত ছিল। আদিতে ছিলেন বলিয়াই তো তিনি আদ্যাশক্তি। আদ্যাশক্তি বলিয়াই তিনি অন্ধকার বর্ণা। পরমহংসদেব বলিতেন—“কালী কি কালো? দূরে তাই কালো। আকাশ দূরে তাই নীল, কাছে রং নাই।” মহাশক্তি নিরাকার তাই তিনি কৃষ্ণবর্ণা। কালী দিগম্বরী। দিক্‌-দেশ দ্বারা অপরিচ্ছিন্ন বলিয়াই বিবসনা। দেশ-কালের বন্ধনে সীমাবদ্ধ নহে; অসীম তিনি, ইহা বুঝাইতেই দিগ্বসনা মূর্তি।
    মৃত ব্যক্তির ছিন্ন হস্তদ্বারা একটি মেখলা। হস্ত কর্মশক্তির আধার। জীবগণের কর্মফল মহাকালের অবিদ্যার অংশে আশ্রয় লয়। ঐ কর্মফল-বশতঃই তাহাদের আবার জন্ম হইবে। জীবের অভুক্ত কর্মফল প্রলয়ে মহাপ্রকৃতির গর্ভে নিহিত থাকে। পরবর্তীকল্পে ভোগের নিমিত্ত। তাই মহামায়ার কটিতে নৃ-করমালা দোদুল্যমান।
    জননী ত্রিনয়না। ত্রিনয়নে চন্দ্র, সূর্য এবং অগ্নি অন্ধকার-বিধ্বংসী এই তিন শক্তির বিকাশ। তিন নয়নে মাতা তিন কাল দেখেন। সত্য, শিব ও সুন্দরকে প্রত্যক্ষ করান। মায়ের বক্ষস্থিত উন্নত স্তন ক্ষীর-পরিপূর্ণ। এক স্তন দ্বারা জগৎ পালন করেন আর এক স্তন-ধারায় সাধকগণকে পরমা মূর্তির অমৃতাস্বাদন করান।
    জননীর রক্তবর্ণ জিহ্বা রজোগুণের সূচক। শুভ্রতা সত্ত্বগুণের প্রতীক। শুভ্র-দন্তের দ্বারা রসনা দংশন করিয়া সাধকদিগকে সত্ত্বগুণের দ্বারা রজোগুণকে সংহত রাখিতে শিক্ষা দিতেছেন।
    ব্রহ্মপুরুষ শিব চরণতলে থাকিয়া তিনিও যে মহাশক্তির অধীন তাহা বিজ্ঞাপিত করিতেছেন। পুরুষ শুধু অধ্যক্ষ বা দ্রষ্টা বা ঈক্ষণকারী। মহাপ্রকৃতি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডময় নিয়ত নৃত্যশীলা বা ক্রীড়া পরায়ণা। মহাশক্তির বাসস্থান শ্মশান। শ্মশান বলিতে শবের শয়ন স্থান। কর্মফল ভোগান্তে জীবের শেষ বিশ্রাম স্থান শ্মশান। সেই শ্মশানে কালী বাস করেন। কল্পান্তে তাঁহার আশ্রয়ে সকলে বিশ্রাম পায়। আমাদের প্রাত্যহিক প্রলয়ে অর্থাৎ সুষুপ্তিকালেও আমরা যোগনিদ্রারূপিণী ঐ কালিকার স্নিগ্ধ শীতল ক্রোড়ে শান্তিলাভ করি।
    ব্যাধি, সন্তাপ, বিরহ, বেদনা, উদ্বেগ সর্বতোভাবে মুছাইয়া দেন ঐ শ্মশানবাসিনী জননী কালিকা। জননীকে বলা হইয়াছে ভীষণ বদনা—“করালবদনাং ঘোরাং”—বিকট করালদংষ্ট্রা-সমন্বিতা। দেখিলেন মহাভীতির উদয় হয়।
    সঙ্গে সঙ্গেই বলা হইয়াছে—“সুখপ্রসন্নবদনাং স্মেরানন-সরোরুহাম্‌”—সুখাতিশয্যা হেতু সুপ্রসন্ন বদনমণ্ডল। মুখপদ্মে মৃদু হাসি শোভমান।
    একই কালে বিরুদ্ধতার নিরুপম সমাবেশ। আসুরিক শক্তির সহিত যুদ্ধের সময়—“চিত্তে কৃপা সময়নিষ্ঠুরতা—চ দৃষ্ট্বা”—এক অনির্বচনীয় ভাব। কালিকারূপিণী এই মহাশক্তি নিখিল বিশ্বের যাবতীয় নরনারীর পরমা জননী। ইনি প্রসবিত্রী, ধাত্রী, পালয়িত্রী।
    ঈশ্বর স্রষ্টা, জীব সৃষ্ট—জীবেশ্বরের এই সম্বন্ধই পৃথিবীর সকল ধর্মশাস্ত্রে পাই। খ্রীষ্টধর্ম ঈশ্বরে পিতৃস্বরূপের ভাবও জানাইয়াছে। একমাত্র হিন্দু ঋষি ঈশ্বরে পরম মাতৃত্বের মূর্তি দর্শন করিয়াছেন। পিতা অপেক্ষা মাতার সঙ্গে পুত্রের সম্বন্ধ নিবিড়তর। মাতৃ-সম্বোধন অধিকতর প্রাণস্পর্শী এবং সান্ত্বনাদায়ক। ক্রীড়াক্লান্ত শিশু মাতৃবক্ষে আরাম ও বিশ্রান্তি লাভ করে। আর্য ঋষি পরমকারণকে কেবল মা বলিয়াই ক্ষান্ত হন নাই—বিশ্বের সর্বভূতে এ মাতৃত্বের প্রকাশ দেখিয়াছেন—“যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা।” মায়ের মূর্তির দিকে দৃষ্টি সম্পাত করিয়া ভক্ত সাধক দেখেন বজ্রকঠোর পুষ্পকোমল শাসন, গর্জন, পালন, পোষণ—অতি সৌম্য অতি রৌদ্র ব্রহ্মময়ী শক্তির এক করুণাস্নিগ্ধ বিরাট্‌ মাতৃত্ব। ইহাকেই অর্চনা করি। ইহারই চরণে ক্ষুদ্র আমিত্ব জলাঞ্জলি দিয়া, ইহারই ক্রোড়ে আরোহণ করিয়া হিন্দু ভক্ত-সাধক বিশ্বমানবকে ভাই বলিয়া সম্বোধন করে। সর্বভূতে মাতৃত্বের দর্শনে সাধক কামজিৎ হন। কামের বিনাশে প্রেমের উদয়। প্রেম আসিলে ক্ষুদ্রতা ঘুচিয়া যায়। মানব জাতির ঐক্য দৃঢ়তর হয়। আজ সমাজে সর্বধিক প্রয়োজন জাতীয় একতার। প্রভু জগদ্বন্ধুসুন্দর তাই প্রার্থনায় কালীমাকে বলিয়াছেন—
        “এস মা পাগলা কালী—
        লয়ে প্রেমের ডালি—”
‘শ্রীমহানামব্রত প্রবন্ধাবলী’(২য় খণ্ড) থেকে
05th  November, 2021
ঈশ্বর

সেবক: কষ্ট করে ত্যাগ করা ভাল, না ভোগ করে মিটিয়ে নেওয়া ভাল?
মহারাজ: যদি কেউ evolution-এর শেষ stage-এ পৌঁছে থাকে, তাহলে তার ঈশ্বর বই আর কিছু ভাল লাগবে না। কিন্তু তা না হলে মন্দির করা, building করা, hostel করা, পরোপকার, জগৎ উদ্ধার করতে করতে প্রাণ যাবে
বিশদ

গোপাল

কলৌ জাগর্ত্তি গোপালঃ। কলিতে গোপাল জাগ্রত। কোন্‌ সুদূর দ্বাপর যুগে এসেছিলেন ভগবান্‌ নন্দদুলাল ব্রজের গোপাল রূপে। স্থূল দেহে ধূলার ব্রজে লীলা ক’রে গেলেন সেই হারিয়ে যাওয়া শত শত বৎসর আগে। অথচ শাস্ত্র বলছেন—এই কলিতে তিনি বিশেষ ভাবে জাগ্রত। বিশদ

05th  December, 2021
মুক্তি

খুব কম লোকই এই ভগবৎ-রাজ্যে প্রবেশ করে, কারণ সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে খুব কম লোক। তাই গীতায় বলা হয়েছে: “কে আর পূর্ণ মুক্তি চায়?
বিশদ

03rd  December, 2021
বিশ্বাস

‘বিশ্বাস’ কথাটি লইয়া অনেক সময় মারামারি হইয়া থাকে। ‘বিশ্বাস ব্যতীত মুক্তি হয় না’, ‘বিশ্বাসো ধর্মমূলং হি’, ‘বিশ্বাসে মিলিবে বস্তু তর্কে বহুদূর’, ইত্যাকার অনেক কথা শুনিতে পাওয়া যায়। আমার বোধ হয়, ‘বিশ্বাস’ শব্দটির ঠিক পরিষ্কার ধারণা খুব কম লোকেরই আছে। বিশদ

29th  November, 2021
ঈশ্বর

বিশ্ব-বিধাতা ভগবান্‌ না দিলে মানুষের দানে লোকের অভাব কখনই মিটেনা। এই সব দুঃখ কষ্ট রোগ শোকের মধ্যেও প্রভুর লীলা দেখ্‌বার চেষ্টা কর। তিনি পরম কল্যাণময়। আমরা মাটির খেলনা নিয়ে ভুলে আছি! কামিনী-কাঞ্চন, মান-ইজ্জত পেয়ে সব বিস্মরণ! তাই কৃপা-নিধান দয়া করে মহামারী, দুর্ভিক্ষ, মহাযুদ্ধ আমাদের মধ্যে “বহুজন হিতায়” আনেন।
বিশদ

22nd  November, 2021
মনঃসংযোগ

বহির্জগতের অথবা অন্তর্জগতের যাবতীয় জ্ঞানই আমরা একটি মাত্র উপায়ে লাভ করি—উহা মনঃসংযোগ। কোন বৈজ্ঞানিক তথ্যই জানা সম্ভবপর হয় না, যদি সেই বিষয়ে আমরা মন একাগ্র করিতে না পারি। বিশদ

15th  November, 2021
অবতার

মিলারেপার অমিত যোগশক্তি, অসীম করুণা, অলৌকিক জীবন যে কেবল নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার ফল, একথা শিষ্যেরা নিঃসংশয়ে মেনে নিতে পারতেন না, কারণ তাঁদের মনে এই ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল যে এই লোকোত্তর পুরুষের দেবদুর্লভ জীবন কখনোই একটি জীবনের তপস্যার ফলে সম্ভব হয় নি। বিশদ

11th  November, 2021
আচার্য্য

বাহ্যিক স্নেহ-প্রেম-ভালবাসা ও আদর-আপ্যায়ন তাহাদের জন্যই প্রয়োজন অধিক। কিন্তু, যাঁরা উচ্চকোটী সাধক, আচার্য্যদেব তাঁহাদিগকে করুণা করেন ভাল খাওয়াইয়া ভাল পরাইয়া নয়; পরন্তু অন্যভাবে। এক্ষেত্রেও তাহাই হইল। সন্ন্যাসী ভ্রাতৃগণ যখন আচার্য্যদেবের অন্তরঙ্গ ভক্ত সন্তানটিকে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিতেছিলেন, তখন আচার্য্যদেব কোনও সমর্থন তো জানাইলেন না, অধিকন্তু কিয়ৎক্ষণ পরে গম্ভীর ভাবে বলিলেন—“দুই একদিন না খাইলে কি হয়? বিশদ

10th  November, 2021
নির্ভরতা

“আসল কথা হচ্ছে নির্ভরতা। নির্ভর করলে আর কিছুই করতে হয় না; তোমাদের মধ্যে যদি কারো কিছু হয়ে থাকে, তবে তা সাধনায় নয়, আমার উপর নির্ভর ক’রে, আমায় ভালবেসে। বিশদ

08th  November, 2021
শিক্ষা ও তার উদ্দেশ্য

স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষার মূলতত্ত্ব সম্বন্ধে বলেছেন, সমস্ত জ্ঞান ও সমস্ত শক্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে, বাইরে নয়। যা’কে আমরা প্রকৃতি বলি, তা একখানি প্রতিচ্ছবির আরশি। আমরা যাকে শক্তি প্রকৃতির রহস্য এবং বল বলি, সমস্তই অন্তর্নিহিত।
বিশদ

07th  November, 2021
নির্ভরতা

“আসল কথা হচ্ছে নির্ভরতা। নির্ভর করলে আর কিছুই করতে হয় না; তোমাদের মধ্যে যদি কারো কিছু হয়ে থাকে, তবে তা সাধনায় নয়, আমার উপর নির্ভর ক’রে, আমায় ভালবেসে। নির্ভরতার—ভালবাসারও আবার ভাবভেদে তারতম্য রয়েছে। একজন সাধু ছিলেন, শিশুকাল হতে তিনি গুরুর আশ্রমেই লালিত-পালিত, স্ত্রীলোকের দর্শন লাভ তাঁর আর ঘটে ওঠেনি। বিশদ

06th  November, 2021
মা দুর্গা দেবী

বেদ আমাদের আদি ধর্মগ্রন্থ। বেদের মূল কথা—ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। বেদের ঋষিরা উপলব্ধি করিয়াছিলেন—ঈশ্বর নিরাকার, সর্বব্যাপী ও সর্বশক্তিমান্। প্রকৃতির মধ্যে তাঁহারা পাইয়াছিলেন ঈশ্বরের নানা শক্তির পরিচয়। সেই সকল শক্তিই হইলেন বেদের দেবতা। বিশদ

04th  November, 2021
মানুষ

যখনই একজন মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, তাকে কেবল একজন মানুষ বলেই মনে করি। কিন্তু তাঁর সম্বন্ধে কোন স্পষ্ট ধারণা হয় না। তাকে কি মনে হয়? দেহ? না মন? না আত্মা? না। আমাদের ধারণা হচ্ছে— তিনটি বস্তুর সংমিশ্রিত পিন্ড বিশেষ। আমাদের প্রয়োজন তাকে আত্মারূপে দেখা। কিন্তু এটি সহজ কর্ম নয়।
বিশদ

02nd  November, 2021
বৈকালিক নিবেদন

একদিন অপরাহ্নে শ্রীশ্রীঠাকুরকে বৈকালিক নিবেদন করতে গিয়ে দেখা গেল ভাঁড়ার শূন্য। মঠের আর্থিক অবস্থা সেযুগে নুন আনতে পান্তা ফুরনোর মতো। কোষাগার সেদিন রিক্ত। সাধারণত প্রতিদিন বেলা ঠিক চারটায় বৈকালিক নিবেদন করা হতো। এই তথ্য যখন গোচরে এলো তখন ঘড়িতে বিকাল তিনটা। বিশদ

01st  November, 2021
শ্রীরামকৃষ্ণের শক্তি সাধনার নবমাত্রা

সাধারণের সামর্থ্য সীমার গন্ডি পেরিয়ে যাঁরা অসাধারণ বলয়ে প্রবেশাধিকার লাভ করেন এবং যাঁদের শক্তি সামর্থ্যের নূতন দিক-সীমা স্থাপন করে নিজেদের চিহ্নিত করে স্বমহিমায় সুদীর্ঘকাল মানব সমাজে ভাস্বর হয়ে থাকেন, এমন মহাপুরুষ ভারতীয় আধ্যাত্মিক সাধন সাম্রাজ্যে একাধিক। বিশদ

31st  October, 2021
দৈবীসত্তার

ইদানীংকালে পাশ্চাত্যের প্রাচ্যবিদ পণ্ডিতগণ ভারতবর্ষকে বিশেষ শ্রদ্ধার আসনে স্থাপন করেছেন। দৈবক্রমে অতি প্রাচীনকাল থেকেই আধ্যাত্মিক সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার মহান দায়িত্ব ভারতবর্ষের ওপর অর্পিত হয়েছে। ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে স্মরণাতীত কাল থেকেই প্রবল প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে ভারতীয় সভ্যতা বর্তমান অবস্থায় এসে উপনীত হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2021
একনজরে
রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...

কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM