উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তোমরা যদি নিরাসক্ত হয়ে বাস করতে চাও তবে কিছুকালের জন্য নির্জন স্থান খুঁজে নাও। এক বছর, ছ’মাস, একমাস বা অন্তত বারো দিনের জন্য। নির্জনবাসকালে একটানা ঈশ্বরের ধ্যান করবে আর তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে যেন প্রেম লাভ করতে পারো। সংসারের কোনকিছুই তোমার নিজের নয়, তা বারবার মনে করবে। যাদের তুমি নিজের মনে করছো তারা কেউই চিরকালের নয়। কেবলমাত্র ঈশ্বরই হচ্ছেন তোমার যথার্থ আপনজন—তোমার যথাসর্বস্ব। তাঁকে লাভ করাই তোমার জীবনের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান হওয়া উচিত। ভক্ত ও সাধুসন্তদের যারা অবজ্ঞা ও উপহাস করে সেইসব লোককে সাধনজীবনে এড়িয়ে চলবে। নিজের ভাব ও বিশ্বাস নিজের মনে মনে রাখবে, বাইরের লোক যেন তা টের না পায়। না হ’লে নিজের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। চান করানোর পর হাতিকে ছেড়ে দিলে হাতিটি আবার নোংরা মাখবে। কিন্তু হাতিশালে বেঁধে রাখলে পরিষ্কার থাকবে। সেইরকম তোমরাও যদি সাধুসঙ্গে একবার শুদ্ধ হও এবং পরক্ষণেই আবার বিষয়ী লোকেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে আরম্ভ করো তবে তোমাদের পবিত্র ভাবটি নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু ঈশ্বরচিন্তায় মনকে একাগ্র রাখতে পারলে তোমাদের ভাব আর মলিন হবে না।
ঘষা আয়নায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় না আর মায়ায় আচ্ছন্ন অপবিত্র হৃদয়ে ঈশ্বর-মহিমা প্রকাশিত হয় না। কিন্তু পরিষ্কার আয়না যেমন সূর্যের আলো প্রতিফলিত করতে পারে পবিত্র ব্যক্তিও সেইরকম ঈশ্বরের দেখা পান। তাই তোমরা পবিত্র হও। গভীর কুয়োর ধারে দাঁড়ালে মানুষ ভয়ে যেমন খুব সাবধানী হয়ে ওঠে পাছে তার ভেতরে পড়ে যায়, তেমনি সংসারী লোকেদের সবসময় প্রলোভন থেকে সাবধানে থাকা দরকার। যে একবার প্রলোভনের কুয়োতে পড়েছে তার পক্ষে আর পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা শক্ত। তাকেই প্রকৃত বীর বলা যায় যে সংসারের হাজার প্রলোভনের মধ্যে থেকেও পূর্ণতা লাভ করে। সদ্যোজাত বাছুরের পা টলমল করে ব’লে চলতে গিয়ে বার বার পড়ে যায়। কিন্তু এমনি করতে করতেই কিছুকাল পরেই সে নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে শিখে যায়। সাধনপথেও তেমনি সিদ্ধিলাভের আগে বারবার পা পিছলে যায়।