উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অনন্ত পদ্মনাভন শনিবার শহরে এসে বলেন, গত সপ্তাহেই কোয়েম্বাত্তুরে ১৪৯ কিলো সোনা আটক করা হয়। তার মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। অভিযোগ ওঠে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সেই সোনা পাওয়া গিয়েছে। পরবর্তীকালে তার বৈধতা প্রমাণ করে তারপর সোনা ছাড়ানো হয়। আমরা বেআইনি সোনা লেনদেনের বিরুদ্ধে। কিন্তু বৈধ সোনা আটক করায় আমাদের ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছে। ইনভয়েস বা চালান থাকলেও, তা অনেক সময়ই অস্বীকার করছে পুলিস ও প্রশাসন, অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, জিএসটি নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর সহ নানা তথ্য চালানে থাকলেও, তা গ্রাহ্য হচ্ছে না নানা সময়ে। অনেক সময়ই স্টকবুক দেখতে চাওয়া হচ্ছে। সেটা কখনও সঙ্গে নিয়ে ঘোরা সম্ভব নয়। আবার সেই চালানটির বৈধতা প্রমাণের জন্য ডিআরআই বা কাস্টমস বা ইনকাম ট্যাক্সের দ্বারস্থ হচ্ছে প্রশাসন। পদ্মনাভনের বক্তব্য, তাঁদের ব্যবসায় ব্যাঙ্ক থেকে ডিলার, জুয়েলার হয়ে ঘোরে সোনা। প্রতি ক্ষেত্রেই সরকার তার বৈধতা দাবি করতে পারে। তাঁদের দাবি, ঠিক কী কী নথি থাকলে আমাদের হেনস্তা করা হবে না, তা নির্দিষ্ট করে বলা হোক। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা এই বিষয়ে আলোচনায় বসব। আগামী জুন বা জুলাই মাসে সেই বৈঠক হওয়ার কথা। দেশের কোনও না কোনও স্থানে প্রায় ছ’মাস অন্তর ভোট থাকে। সব ক্ষেত্রেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। সোনা আটক করার পর তার কাগজপত্র দেখিয়ে হয়তো তিন-চার দিনের মধ্যে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে ব্যবসায় সমস্যায় পড়তে হয়। অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন বলেন, ভোটের মুখে এই সমস্যার পাশাপাশি সোনার হলমার্কিং বা আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিমের আওতায় সোনা ব্যবসাকে আনা সহ বেশ কিছু বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছি। কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষামন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বিষয়গুলি শুনেছেন এবং পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।