পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা থেকে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ হচ্ছে। পরিবেশ আদালতে এবিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। মামলা চলাকালীন চলতি বছরের জুন মাসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা করতে অক্ষম জানিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। যার জেরে এবছর থেকে মেলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত দু’বছর ছ’দিনের মেলা হলেও এবার চারদিনের মধ্যেই মেলা শেষ করতে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি বেশকিছু নতুন নিয়ম নিয়ে আসা হয়। এবছর থেকে প্রথম মেলার স্টল বুকিং সহ অন্যান্য সমস্ত প্রক্রিয়া অনলাইন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে স্টলের ভাড়া। তার সঙ্গেই স্টল মালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের সিকিউরিটি মানি নেওয়া হবে। চারদিনের মধ্যে মেলার মাঠ খালি না করলে সেই সিকিউরিটি মানি কেটে নেওয়া হবে। অনলাইনে স্টল বুকিংয়ের ফলে বঞ্চিত হতে পারেন বোলপুরের ব্যবসায়ীরা। অনলাইন প্রক্রিয়ার ফলে যে কেউ দূর-দূরান্ত থেকে স্টল বুক করে নিতে পারে। তাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পছন্দমতো জায়গা পাবেন না বা তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে যে স্থানে মেলায় স্টল করে আসছেন সেই জায়গা নাও পেতে পারেন। অন্যদিকে, স্টলের ভাড়া অত্যধিক মাত্রায় বৃদ্ধি ও সিকিউরিটি মানি নেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, পুরনো ব্যবসায়ীদের আগে সুযোগ দিতে হবে ও মেলার প্লট বুকিংয়ের টাকা কমাতে হবে। দিন কয়েক আগে এই দাবিতে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটের সামনে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কুশপুত্তলিকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের দাবি না মানা হলে মেলার মাঠে কোনও প্যান্ডেল হবেনা বলে জানিয়ে দেয় তারা। আজ, শনিবার ব্যবসায়ীদের এই দাবি নিয়েই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। তার আগে শুক্রবার মেলার মাঠে স্টলের লে-আউট করার কাজ শুরু হয়। তার সঙ্গেই বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের দেখা গেল মেলার মাঠ পাহারায়। বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, তাদের দাবি মানা না হলে ডেকরেটররা কোনও প্যান্ডেল করবেন না।
অন্যদিকে, শুক্রবার দুপুরে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বীরভূম প্রশাসনের সঙ্গে মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা পুলিস সুপার শ্যাম সিং, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার সহ বিশ্বভারতীর বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক, দমকল ও পুলিসের অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরা।
বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী মেলা পরিচালনা করতে গেলে প্রশাসনিক যে সমস্ত সহযোগিতা প্রয়োজন সেই বিষয়ে বৈঠক করা হল। এবছর ২৪-২৭ ডিসেম্বর চারদিনের পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হবে।