পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত বছর ওই কিষাণ মান্ডিতে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার সময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। একশ্রেণীর ফড়েরা বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ধান এনে এখানে বিক্রি করেছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ব্লকে মোট উৎপাদিত ধানের থেকেও দেড়গুণ বেশি পরিমাণ ধান কিনতে হয় খাদ্য দপ্তরকে। ওই সময় সমুদ্রগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চারজন নেতা কিষাণ মান্ডিতে সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অনিয়ম করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তাই এবার আগাম সতর্কতা হিসেবে চাষিদের থেকে ধান কেনার আগে প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়। সেখানে স্বপনবাবু কিষাণ মান্ডির চারিদিকে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনও জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতারা যাতে ধান কেনার সময় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত না থাকেন। এমনকী কারও উপস্থিতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধুমাত্র কৃষি ও খাদ্য দপ্তরের সরকারি আধিকারিকরা সেখানে থাকতে পারবেন।
ব্লক কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর কৃষি জমিতে ধান চাষ হয়। এবছর মোট ধান উৎপাদন হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এখনও পর্যন্ত ধান বিক্রির জন্য ব্লকের ৪৫৪ জন চাষি নাম নথিভুক্ত করেছেন। সোমবার থেকে ব্লকের চাষিদের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনা শুরু হবে।
স্বপনবাবু বলেন, কিষাণ মান্ডিতে চাষি ছাড়া ফড়েদের কাছ থেকে ধান কেনা চলবে না। ধানের বস্তায় কোনওরকম আবর্জনা মেশানো যাবে না। ব্লকে মোট ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়। এবার তার থেকে এক বস্তাও বেশি ধান কেনা চলবে না। চাষিদের ধান কেনা নিয়ে জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের মাথা ঘামাতে হবে না। এবার চারিদিকে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।