পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট দু’হাজার ৯৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে গোটা জেলায় ৯৬৭টি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী চালু হবে। আউশগ্রাম-১ ব্লকে ২৮টি, আউশগ্রাম-২ ব্লকে ৩০টি, ভাতার ব্লকে ৫০টি, বর্ধমান পুরসভায় ৩৫টি, বর্ধমান-১ ব্লকে ৪২টি, বর্ধমান-২ ব্লকে ২৯টি, দাঁইহাট পুরসভায় ৩টি, গলসি-১ ব্লকে ২৯টি, গলসি-২ ব্লকে ২৫টি, গুসকরা পুরসভায় ৬টি, জামালপুর ব্লকে ৬৫টি, কালনা পুরসভায় ৪টি, কালনা-১ ব্লকে ৩৪টি, কালনা-২ ব্লকে ৩০টি, কাটোয়া পুরসভায় ১০টি, কাটোয়া-১ ব্লকে ৪৪টি, কাটোয়া-২ ব্লকে ২৯টি কেতুগ্রাম-১ ব্লকে ২৬টি, কেতুগ্রাম-২ ব্লকে ২১টি, খণ্ডঘোষ ব্লকে ৩৯টি, মেমারি পুরসভায় ৪টি, মেমারি-১ ব্লকে ৩৬টি, মেমারি-২ ব্লকে ৪০টি, মঙ্গলকোট ব্লকে ৫১টি, মন্তেশ্বর ব্লকে ৭০টি, পূর্বস্থলী-১ ব্লকে ৪৯টি, পূর্বস্থলী-২ ব্লকে ৫৭টি, রায়না-১ ব্লকে ৪৭টি এবং রায়না-২ ব্লকে ৩৪টি স্কুলে এই পঞ্চম শ্রেণী চালু হবে।
অন্যদিকে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অণ্ডাল ব্লকে ৩০টি, আসানসোল পুরসভায় ১৩০টি, বারাবনি ব্লকে ১৯টি, দুর্গাপুর পুরসভায় ৩৯টি, জামুড়িয়া ব্লকে ৩১টি, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে ২৫টি, কাঁকসা ব্লকে ২৩টি, পাণ্ডবেশ্বর ব্লকে ২৩টি, রানিগঞ্জ ব্লকে ৯টি এবং সালানপুর ব্লকে ২৩টি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী চালু হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অচিন্ত্য চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী চালু হচ্ছে। দু’টি জেলার যে যে স্কুলে চালু হবে, তার অনুমোদনের পূর্ণাঙ্গ তালিকাও আমাদের কাছে এসেছে। আমরা প্রতিটি স্কুলকে জানিয়েছিলাম, যেহেতু প্রতিটি জায়গায় চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হতো, তাই এবার পঞ্চম শ্রেণী চালু করার জন্য কোন স্কুলের কী প্রয়োজন, অর্থাৎ কোথায় কী পরিকাঠামো বদল করতে হবে তা জানাতে বলা হয়েছিল। স্কুলের তরফে অনেক প্রস্তাব জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা বহু স্কুলে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করেছি। বেশ কয়েকটি স্কুলে কাজও চলছে। তিনি বলেন, যেখানে পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস নেওয়া হবে, সেই ক্লাসঘর নির্দিষ্ট করা, প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের জন্য বেঞ্চের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি বিষয়গুলিও দেখা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার পাশাপাশি, পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও আমাদের তরফে যা যা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হচ্ছে।