পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রহাট এলাকার বাসিন্দা রণজিৎ মণ্ডল রণসাগর আদর্শ বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। গত বুধবার ওই থানার পিলখানার বাসিন্দা পূজা মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার বউভাত অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রীতিভোজের আয়োজন করেছিলেন। প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে অভিনবত্ব আনতেই গেট পেঁয়াজ দিয়ে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেন। ৩০ কেজি পেঁয়াজ এবং দু’কেজি পেঁয়াজ কলি এবং গাছ দিয়ে গেট সাজানো হয়েছে। রজনীগন্ধা ফুলের চেনের পরিবর্তে পেঁয়াজের চেন গেটজুড়ে ঝোলানো হয়েছে। গেটের মাথায় প্রজাপতির দেহ পেঁয়াজ, ডানা পেঁয়াজের খোসা এবং শুঁড় পেঁয়াজের কলি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। গেট সাজাতে পেঁয়াজের পাশাপাশি ঝাউগাছের পরিবর্তে পেঁয়াজের গাছ ব্যবহার করা হয়েছে।
রণজিৎ মণ্ডল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আনাজের বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা সকলেই কিচেন গার্ডেন করে নিজেদের পরিবারে পেঁয়াজের প্রয়োজনীয়তা কিছুটা হলেও মেটাতে পারি, এই বার্তা দিতেই পেঁয়াজ দিয়ে গেট সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। পরিকল্পনার বিষয়ে শিল্পী সন্দীপদাকে বলতেই তিনি রাজি হয়ে যান। স্বামীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে নববধূ পূজা মণ্ডল। নববধূ আরও বলেন, ফুল দিয়ে সবাই অনুষ্ঠান বাড়ি সাজায়। এই মুহূর্তে পেঁয়াজ গোটা দেশব্যাপী একটা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পেঁয়াজের গেট আমার বউভাতের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখবে।
শিল্পী সন্দীপ হালদার বলেন, এখন থিমের পুজোর রমরমা। থিমের পুজোয় মণ্ডপ এবং প্রতিমাসজ্জায় শস্যদানা, আনাজ থেকে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ১০-১৫ বছর আগেও মানুষ কল্পনাও করতে পারত না। পেঁয়াজ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিও ও মুখরোচক গল্প পোস্ট হচ্ছে। অনেকগুলি আবার ভাইরাল হচ্ছে। তাই আমাকে গেট সাজানোর জন্য বলা হলে ফুলের পরিবর্তে পেঁয়াজ দিয়ে সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। রণজিৎবাবু প্রস্তাবে সায় দেন। তারপরেই গেট সাজানোর ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে ফেলি।