উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
প্রবল ঋণের বোঝা আর কমতে থাকায় আয়ে জর্জরিত জেট এয়ারওয়েজ সম্প্রতি তাদের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করে। যার ফলে সংস্থার কয়েক হাজার কর্মী রাতারাতি বেকার হয়ে যান। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের কনসর্টিয়াম বর্তমানে এই সংস্থার ঋণ পরিশোধের নয়া রূপরেখা তৈরির কাজ করছে। এদিন জেট এয়ারওয়েজের এই মুখ থুবড়ে পড়ার প্রসঙ্গে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ বলেন, ‘আমি এখানে বড় দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছি। রীতিমতো পরিকল্পনা করে এই বিষয়টি নির্বাচনের মরশুমে উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারেন।’ শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে হস্তক্ষেপ করারও আর্জি জানান তিনি।
এদিকে, কাজ হারিয়ে জেট এয়ারওয়েজের কয়েক হাজার কর্মী চরম বিপাকে পড়লেও, তাতে শাপে বর হয়েছে অন্য বিমান সংস্থাগুলির। এমনটাই মনে করছেন দেশের এইচআর বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, কাজ হারানোর ওই সমস্ত অভিজ্ঞ কর্মচারীদের অনেক কম টাকার প্যাকেজে নিয়োগ করার চেষ্টা করবে বিমান সংস্থাগুলি। বিমান সংস্থাগুলিতে কর্মী সরবরাহকারী সংস্থা টিমলিজ সার্ভিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা তথা এগজিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী জানান, ভারতে বিমান পরিবহণ শিল্পে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, সেই তুলনায় গ্রাউন্ড স্টাফ, কেবিন ক্রু এবং পাইলটের জোগান এখনও অনেকটাই কম। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমার মনে হয় জেট এয়ারওজের অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষিত কর্মীদের নিয়োগ করতে সব বিমান সংস্থাগুলিই তৎপর হবে।’