বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আকাশ ছিল মেঘলা। ফলে পুজো উদ্যোক্তা ও সাধারণ মানুষের মুখ ছিল ভার। তবে, দুপুরের পর রোদের দেখা মিলতেই সকলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। এদিন সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ সাউন্ড বক্সের আওয়াজে গম গম করেছে। কচিকাঁচারা নতুন পোশাক পরে হাজির হয়ে যায় মণ্ডপে। পঞ্চমীর দিনই মেদিনীপুর, খড়্গপুর শহরে অধিকাংশ পুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। এদিনও বেশকিছু পুজোর উদ্বোধন হয়। দুপুরের পর থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে বাইকে চড়ে প্রতিমা দর্শন শুরু হয়ে যায়। অনেকে আবার গাড়ি ভাড়া করে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। সন্ধ্যার পর মেদিনীপুর, খড়্গপুর, গড়বেতা, কেশপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, শালবনী এলাকার মণ্ডপগুলিতে ভিড় জমতে শুরু করে। মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁও এদিন ছিল ভিড়ে ঠাসা। জাতীয় সড়কের ধারে খাবারের হোটেলগুলিতেও ভালো ভিড় ছিল। অনেককেই ঠাকুর দেখার ফাঁকে পেটপুজো সেরে নেন।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অনেকগুলি পুজোর উদ্বোধন হয়েছে। সবং রেজিস্ট্রি অফিস নবোদয় সর্বজনীন পুজো এবার ২৬ বছরে পড়ল। এদিন জেলাশাসক রশ্মি কমল এই পুজোর উদ্বোধন করেন। তাঁর হাত দিয়ে পুজো উদ্যোক্তারা দেড়শোজনকে ফলের চারাগাছ উপহার দেন। পুজো কমিটির কর্মকর্তা অমূল্য মাইতি বলেন, ওড়িশার তারিণীদেবী মন্দিরের আদলে আমাদের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। কৃষ্ণনগরের শিল্পী প্রতিমা গড়েছেন। আশা করি, আমাদের মণ্ডপ দর্শনার্থীদের মন জয় করে নেবে।
মহাষষ্ঠীতে ঝাড়গ্রামের ছবিটাও মোটামুটি একই ছিল। এদিন সকাল থেকে জেলার আবহাওয়া রোদ ঝলমলে থাকায় সাধারণ মানুষ আর সময় নষ্ট করতে চাননি। কিছুটা তাড়াতাড়িই পুজো দেখতে বেরিয়ে পড়েন। জেলার বহু পুজোর এদিন উদ্বোধন হয়। বিনপুরে এবং শহরের শারদোৎসব মাঝেরপাড়া সর্বজনীন পুজোর এদিন উদ্বোধন করেন পুলিস সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর। পুজো দেখতে আসা সমস্ত শিশুর হাতে চারা গাছ তুলে দেন পুজো কমিটির সদস্যরা। এদিন গিধনী স্পোর্টিংয়ের পুজোরও উদ্বোধন হয়। সকাল থেকেই গিধনী পূর্বাশা ও গিধনী স্পোর্টিংয়ের পুজো মণ্ডপে ভিড় হয়। ঝাড়গ্রামের বিরিহাঁড়ি সর্বজনীন পুজোমণ্ডপে জীবন্ত দুর্গা দেখতে ভিড় হয়।