বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
গত শুক্রবার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিএআর একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্মীদের বেতন ও গবেষণার ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ করে এই সংস্থা। রাজ্য সরকারের অনুমোদিত পদগুলির জন্য শুধুমাত্র আইসিএআর অর্থ দেয়।
চলতি বছরের মাঝামাঝি বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের জন্য একটি নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সিনিয়র বিজ্ঞানী সহ মোট ১০টি পদের জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই বিতর্ক দেখা দেয়। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র গোবিন্দ রায় এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞের দু’টি পদ ছিল। কিন্তু ওই দু’টি পদের পরিবর্তন করে মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও কৃষি সম্প্রসারণ বিশেষজ্ঞের পদ করা হয়েছে। গোবিন্দ বলেন, উপাচার্য ধরণীধর পাত্রের ভাইপোকে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকদের আত্মীয়রা চাকরি পেয়েছেন। এই নিয়োগে ব্যাপক স্বজনপোষণ এবং অনিয়ম হয়েছে।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, কোনও নিয়ম মানা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার জন্য ইচ্ছেমতো নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে। অযোগ্য কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। কোনও অনিয়ম হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধরণীধর পাত্রকে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও উত্তর মেলেনি।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলিতে নিয়োগের জন্য পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। এক্ষত্রে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। নিয়োগ হওয়ার পরেও রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ১০ জন নিয়োগ হয়েছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই আইসিএআর ঘটনার তদন্তে নামে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তারা চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সদুত্তর না পেয়ে গত শুক্রবার আইসিএরআর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠে দিয়ে জানিয়েছে, সিনিয়র বিজ্ঞানী সহ নিয়োগ হওয়া কর্মীদের বেতন বন্ধ করা হল।