বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এবার বর্ধমান শহরে ভালো ভিড় টানছে সবুজ সঙ্ঘ। থিম হিসেবে তুলে ধরেছে, লন্ডনের বিগ বেন টাওয়ার। মণ্ডপের সামনে দাঁড়ালে মনে হবে লন্ডনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাই সেলফি তোলার হিড়িক পড়ছে ‘এই লন্ডনে’। নজরকাড়া থিমের সঙ্গে এই পুজো কমিটি দর্শনার্থীদের টেনেছে সোনার অলঙ্কারে মোড়া প্রতিমায়। এখানে ২২০ কেজি সোনার গয়না পরানো হয়েছে দুর্গা প্রতিমাকে। সামনে একবার সেই সোনার গয়না দেখতে ভিড় উপচে পড়েছে। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিস ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
ভিড় টেনেছে আলমগঞ্জ বারোয়ারিও। কলসি ভরা সোনার ফসল থিম দেখতে মানুষ হাজির হয়েছেন সেখানে। পদ্মশ্রী সঙ্ঘের পুজোর থিমও এবার নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের। পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র দিয়ে মণ্ডপসজ্জা করা হচ্ছে। গোটা মণ্ডপ যেন আস্ত নাগার দেশ। লাল্টু স্মৃতি সঙ্ঘের পুজো দেখতেও ভিড় উপচে পড়েছে। নারী শক্তির শ্রদ্ধা’কে থিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। থিমের মণ্ডপ দেখার সঙ্গে কলকাতার জনপ্রিয় মৃৎশিল্পী মিন্টু পালের প্রতিমা দেখতেও দর্শনার্থীরা হাজির হয়েছেন এই মণ্ডপে। নীলপুরের ফ্রেন্ডস ক্লাব এক টুকরো দার্জিলিংকে থিম হিসেবে তুলে ধরেছে। তাই লন্ডন, নাগারদেশ পেরিয়ে দর্শনার্থীরা হাজির হয়েছেন এই দার্জিলিংয়েও। বর্ধমান শহরের খাজা আনোয়ার বেড়ের প্রামাণিক বাড়ির শতবর্ষ প্রাচীন দুর্গাপুজোর বোধন দেখতেও এদিন ভিড় উপচে পড়েছিল।
সপ্তমীর বিকেল থেকে শহরে ‘নো-এন্ট্রি’ শুরু হচ্ছে। ষষ্ঠীর দিন মালবোঝাই গাড়ি নো-এন্ট্রি থাকলেও সাধারণ যানবাহনের উপর কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। ফলে, দর্শনার্থীরাও গাড়ি ও বাইকে করে দিব্যি ঘুরে বেড়িয়েছেন। অনেকে মণ্ডপ থেকে সপরিবারে হাজির হয়েছেন রেস্তরাঁয়। কব্জি ডুবিয়ে চলে ভুরিভোজ। তারপর গাইড ম্যাপে চোখ বুলিয়ে আবার ঠাকুর দেখা। মহাষষ্ঠীর জনপ্লাবন যেন অষ্টমীর সন্ধ্যা। শুধু ভিড়ের রঙিন ছবি।