উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
সরকারি ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে দাবিহীন প্রতিটি মৃত পশুপাখির মৃতদেহ নিয়মিতভাবে সংগ্রহ ও সৎকারের ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিকে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যদিও মামলাকারী আশিস মিত্র’র তরফে আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি এদিন সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে দেখিয়ে দেন, রাজ্যে প্রাণীসম্পদের পরিমাণ গ্রামাঞ্চলেই বেশি। তাই যদি পুরসভাগুলি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ভাগাড়ের মাংসের কারবারিরা গ্রামাঞ্চলে সরে যাবে। এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই কারণেই জনস্বার্থ মামলাটিতে রাজ্য সরকারের পৌর দপ্তরের পাশাপাশি পঞ্চায়েত দপ্তর ছাড়াও কমিশনার অব ফুড সেফটি এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মামলাকারীর বক্তব্য, এখনও পৌর বর্জ্যের সঙ্গে মরা প্রাণীর দেহ তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে মরা কুকুর, বিড়ালের মাংস নিয়ে যে এখনও ব্যবসা হচ্ছে না, তা হলফ করে বলা কঠিন। অথচ, খাদ্যের নিরাপত্তা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আদতে নামমাত্র। সরকারি অফিসারদের নিয়ে প্যানেল বানিয়ে মাংস বিক্রির ওপর নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। পুলিসকেও একই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, সরকার বিষয়টিকে স্রেফ আইনশৃঙ্খলার এক্রিয়ারভুক্ত বিষয় হিসেবে দেখছে। কিন্তু, আদতে বিষয়টি তা নয়।
সওয়ালে বলা হয়, রাজ্যের মাত্র তিনটি পুরসভা পশুদেহ সৎকারে শ্মশান নির্মাণের কথা বলেছিল। কিন্তু, কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়নি। অথচ, এই সমস্যা নিরসনে সবার আগে দরকার উপযুক্ত একটি পরিকল্পনা। যার কোনও অস্তিত্ব রাজ্যে নেই। অথচ, তা নাহলে পশুপাখিকে শ্রদ্ধা করার প্রাচীন ভারতীয় প্রথা রক্ষিত হবে না। মানবজীবনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় থাকবে না। কারণ, মৃত প্রাণীর দেহ থেকে মাটি, জল- সবকিছুই দূষিত হতে পারে। মামলাকারী চান, মৃত প্রাণীর দেহ সৎকারে সরকারি দপ্তরগুলির জন্য উপযুক্ত ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলারও নির্দেশ দেওয়া হোক।