উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নুর। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচারের অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। ইস্যুটি নজরে পড়তেই সক্রিয় হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিষষটি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গোয়েন্দা রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের প্রচারে একটি রোড শো করেছিলেন ওই বাংলাদেশি অভিনেতা। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের প্রচারগাড়িতে ছিলেন বলে দাবি। জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এব্যাপারে বুধবার অভিযোগ জানান। অভিযোগের সঙ্গে ভিডিও জমা দেন। জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, ভিসা আইন ভঙ্গ করেছেন বাংলাদেশি অভিনেতা। কোনও বিদেশি ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন না। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় এটা সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ওই অভিযোগটি দিল্লির নির্বাচন সদনে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে হইচই হতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফিরদৌসের মতো কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বাংলা টেলিভিশনের অভিনেতা গাজি আবদুল নুরকে। শেষ পর্যন্ত শর্ত লঙ্ঘন করায় ভিসা বাতিল করা হল নুরের। তবে, তাঁকে ফিরদৌসের মতো কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
এর আগে বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌসের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠেছিল। তিনি রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে প্রচার করেন। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস মিলিতভাবে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ফিরদৌসের বিজনেস ভিসা বাতিল করে তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করে দেয়। ফলে ভবিষ্যতে তাঁর ভিসা পাওয়া অনিশ্চিত।