বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
যে সমস্ত দর্শনার্থী খাগড়াবাড়ির দিক থেকে আসবেন তারা শিলিগুড়ি রোড ধরে গুঞ্জবাড়ি হয়ে শহরে প্রবেশ করতে পারবেন। যাঁরা ঘুঘুমারি দিয়ে শহরে প্রবেশ করবেন তাঁরা মরাপোড়া দিঘি থেকে শহরের মাঝামাঝি অংশের পুজোগুলি দেখে খাগড়াবাড়ির দিকে যেতে পারবেন। যাঁরা তুফানগঞ্জের দিক থেকে আসবেন তাঁরাও মরাপোড়া দিঘির দিক থেকে প্রতিমা দর্শন শুরু করে খাগড়াবাড়ির দিকে যেতে পারবেন।
কোচবিহারের ডিএসপি ট্রাফিক চন্দন দাস বলেন, পুজোর দিনগুলিতে দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পুজো দেখতে পারেন তারজন্য সমস্তরকম ব্যবস্থাই থাকছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত নির্দিষ্ট রুটে বাস চলবে। শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে ই-রিকশ চলবে না। দর্শনার্থীরা খাগড়াবাড়ি, ঘুঘুমারি বা তুফানগঞ্জ যেদিক থেকেই আসুন না কেন শহরের মধ্যে হেঁটে, নির্দিষ্ট রুটে ই-রিকশয় ঘুরতে পারবেন। আবার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বাস ধরে তাঁরা বাড়িতে ফিরতে পারবেন।
কোচবিহারের পুজো দেখতে যাঁরা খাগড়াবাড়ির দিক থেকে আসবেন তাঁরা শিলিগুড়ি রোড ধরে খাগড়াবাড়ি স্পোর্টিং ক্লাব, খাগড়াবাড়ি নাট্য সংঘ, সাউথ খাগড়াবাড়ি, ভারত ক্লাব ও ব্যায়ামাগার, শান্তিকুঠির ক্লাব ও ব্যায়ামাগার পুজো দেখে ধীরে ধীরে কামেশ্বরী রোডে এসে পৌঁছাতে পারেন। সেখানে সুভাষপল্লি, বয়েজ ক্লাব, অমরতলা, কলাবাগান, কালিবাড়ি ইউনিট, ধর্মতলা, দুর্গাবাড়ির পুজোগুলি দেখে নিতে পারবেন। সেখান থেকে এনএন রোড দিয়ে ঢুকে এসিডিসি ক্লাব, অকাল বোধন ক্লাব দেখে স্টেশন চৌপথি হয়ে সোজা মরাপোড়া চৌপথিতে পৌঁছাতে পারেন। মরাপোড়া চৌপথি দিয়ে গুড়িয়াহাটি ক্লাব, পান্থশালা, নিউটাউন ইউনিট, গান্ধীনগর লীলাস্মৃতি, হাজরাপাড়া, সংহতি ক্লাব, তরুণ দল, ভেনাস স্কোয়ার, চালতা তলা হয়ে দেবীবাড়ির পুজোতে পৌঁছতে পারেন। সেখান থেকে বেরিয়ে মদন মোহন বাড়ির দুর্গাপুজো দেখে পুজো পরিক্রমা শেষ করতে পারবেন।
যেসমস্ত দর্শনার্থী ঘুঘুমারির দিক থেকে আসবেন তাঁরা মরাপোড়া চৌপথি থেকে পুজো দেখা শুরু করে নিউটাউন ইউনিট, গুড়িয়াহাটি, পান্থশালা, গান্ধীনগর লীলাস্মৃতির পুজোগুলি একে একে দেখে নিয়ে শহরের এই অংশের পুজো দেখা বড়দেবীর পুজো অথবা মদন মোহন বাড়ির পুজো দেখে শেষ করতে পারেন। এরপর অকালবোধন ক্লাবের পুজো দেখে খাগড়াবাড়ির দিকে যেতে পারেন। তুফানগঞ্জ থেকে চকচকা হয়ে যাঁরা পুজো দেখতে কোচবিহার শহরে আসবেন তাঁরাও মরাপোড়া চৌপথি থেকে পুজো দেখা শুরু করে ধীরে ধীরে খাগড়াবাড়ি পৌঁছতে পারেন। পুলিস জানিয়েছে, খাগড়াবাড়ি, রাসমেলা মাঠ, কালীঘাট রোডে পার্কিং জোন থাকবে। সেখানে গাড়ি রেখে ই-রিকয়, পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় পুজো দেখা যাবে।