বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব অন্যতম। সারা বছর তিনি নিজের দপ্তরের কাজে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এবার মহালয়ার দিন থেকেই পুজো নিয়ে মেতে ওঠেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়া থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি পুজোর উদ্বোধন করেন গৌতমবাবু। এরবাইরে শিলিগুড়ি শহর এবং ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় ঘুরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেও তিনি আতশবাজি প্রদর্শনী সহ নানা অনুষ্ঠান উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সপ্তমীর সকাল থেকে তাঁর রুটিনে কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। গৌতমবাবু বলেন, বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে আসছে। বাড়িতে পুজোও আছে। তাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটাবো। ওদের নিয়ে প্রতিমা দর্শন করব। পাশাপাশি দলীয় কার্যালয়ে, দলীয় বুকস্টলে বসে, এলাকাবাসীদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে, বই পড়ে সময় কাটাবো।
অন্যদিকে শহরের প্রথম নাগরিক তথা মেয়র অশোকবাবুও পুজোয় নিজের দিনলিপিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে পুরভবনে গিয়ে পানীয় জল সরবরাহ, জঞ্জাল সাফাই সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার কাজ তদারকি করব। সন্ধ্যায় দলের জেলা কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনের সামনে তৈরি করা দলীয় বুকস্টলে বসব। এরবাইরে পুজোর সংখ্যার বিভিন্ন বই পড়ে এবং লেখালেখি করে সময় কাটাবো।
অপরদিকে এবার পুজোয় শহরে বুকস্টলের সংখ্যা বাড়িয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর শহরে তৃণমূলের বুকস্টলের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫টি। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ২৫টি। স্টলগুলিতে দলীয় মুখপত্র জাগবাংলার পুজো সংখ্যা সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই রয়েছে। প্রতিটি স্টল থেকেই এনআরসি নিয়ে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সেব্যাপারে মানুষকে বোঝানো হবে। দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, জনসংযোগ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এবার শহরে সিপিএএমর বুকস্টলের সংখ্যাও বেড়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর পুজোয় ১১টি স্টল হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১৩টি করা হয়েছে। তাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের লেখা বই সহ বিভিন্ন লেখকের বই আছে। সিপিএম নেতারা বলেন, প্রগতিশীল মার্কসবাদী সাহিত্য পড়ার ব্যাপারে প্রচার চালানো হবে।
বিজেপিরও বুক স্টলের সংখ্যা বেড়েছে এবার। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, গতবছর শহরে চারটি স্টল ছিল। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০টি। দলীয় নীতি, আদর্শের উপর লেখা বই, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে তৈরি বই স্টলে সাজানো হয়েছে। সিটিজেন বিল এবং এনআরসির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্টল থেকে লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করা হবে।