বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শারদোৎসবের সূচনা আর দশভূজা আবাহন আয়োজনের উদ্বোধনী পর্বে পঞ্চম দিনে মমতা শুরু করেন খিদিরপুরের ২৫ পল্লি থেকে। সেই মঞ্চ থেকেই কার্যত পদ্মশিবিরকে ওই খোঁচা দিয়েছেন তিনি। মিশ্র সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাসের এই এলাকায় মমতা বলেন, এখানে খুব ভালো ভালো পুজোর আয়োজন হয়। সব ধর্ম, বর্ণ আর ভাষাভাষীর মানুষ মিলে এই এলাকা যেন একটি মিনি ভারত। সেই ভারতে সবাই মিলেই উৎসবে শামিল হয়। কারণ, এখানকার আপ্তবাক্য— ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। করতালিতে মমতাকে সায় দিয়েছে জনতার ভিড়। ২৫ পল্লি থেকে শুরু করে ভবানীপুর ৭৫ পল্লিতে এসে মমতা সাঙ্গ করেছেন তাঁর এদিনের ডজন পুজোর উদ্বোধন পর্ব।
সঙ্ঘশ্রীর পুজো এবার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শিরোনামে। জোড়াফুল শিবিরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকা এই পুজোর দখল নিতে এবার আসরে নেমেছিল ‘পদ্ম ছাড়া পুজো হয় নাকি’পন্থীরা। আসরে নেমেছিলেন বিজেপি রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসুও। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি গেরুয়াদের। স্থানীয় পল্লিবাসীর সমর্থনে এবারও সেই পুজোর নিয়ন্ত্রণ রয়ে গিয়েছে জোড়াফুল শিবিরের হাতেই। এদিন সেই পুজো আয়োজনের উদ্বোধন করেতে এসে মমতা নস্টালজিক। স্মৃতির সরণী বেয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ছোটবেলায়। বললেন, তখন স্কুলে পড়ি। পুজোয় তিনটে ঠাকুর দেখতেই হবে। একটি মুক্তদল, একটা সম্মিলনী আর অবশ্যই সঙ্ঘশ্রী। সঙ্ঘশ্রী তখন বরাবর প্রথম হতো। ওদের মাতৃমূর্তির ছবি তখন পাঁচ পয়সা-দশ পয়সা দামে বিক্রি হতো। মাঝে পুজোটা যেন একটু ঝিমিয়ে পড়েছিল। আবার ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরে আসছে। উদ্যোক্তাদের তখন বলতে শোনা যায়, সে তো আপনার জন্যই হয়েছে। এবার মমতা বলেন, সামনের বছর সঙ্ঘশ্রীর ৭৫ বছর। সবাই মিলে আয়োজন করব। পাড়ার সবাই মেম্বার। ফের করতালিতে সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার সঙ্ঘশ্রীর পুজো উদ্যোক্তাদের মমতার কৌশলী বার্তা— বাংলার রীতি আর সংস্কৃতি মেনে আপনারা যে পুজোটাকে ধরে রাখলেন, তার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।